দেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে নিরলস পরিশ্রম করছেন জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি
আলহাজ্ব এ্যাডঃ জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী এবং বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। চলনবিলের কৃতিসন্তান ও সফল রাজনীতিবিদ জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ফয়েজ উদ্দিন এবং মাতার নাম জামিলা আহমেদ। জুনাইদ আহমেদ এমপির পিতা ফয়েজ উদ্দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং চলনবিল এলাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাঁচ বিষয়ে স্টার মার্কস এবং লেটার মার্কস নিয়ে প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। পরবর্তীতে জুনাইদ আহমেদ পলক ঢাকা কলেজ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ২০১৪ সাল থেকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৯৯৪৪ ভোটের ব্যবধানে প্রথমবারের মতো সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ২০১৮ সালে অ্যাপলিটিক্যাল নামের লন্ডন ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ডিজিটাল সরকার গঠনে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তিনি স্থান করে নেন। ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম কর্তৃক ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে প্রতিমন্ত্রী হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম মন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
২০০৯ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৯ম জাতীয় সংসদে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদমর্যাদা লাভ করেন।
২০১০ সালে জলবায়ু রক্ষার্থে ৭ লক্ষ বৃক্ষরোপণ করে ১ম স্থান লাভ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পুরষ্কার পান।
রাজনৈতিক জীবনে জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ২০১২ থেকে নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সাংগঠনিক সম্পাদক সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ২০০২-২০১১। সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদ ২০১২-২০১৬। সভাপতি গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ ১৯৯৮-১৯৯৯। ভি.পি. গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ ছাত্র সংসদ ১৯৯৯-২০০০। সাধারণ সম্পাদক সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ২০০০-২০০১। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাটোর জেলা ছাত্রলীগ ২০০১-২০০২।
প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন জাতীয় পর্যায়ে অবদান: ইউনিয়ন পর্যায় অপ্টিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি এবং সারা দেশে সাড়ে আঠারো হাজার (১৮,৫০০) এরও বেশি সরকারী অফিসে ব্রডব্যান্ড লাইন স্থাপন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৮ টি হাই টেক পার্ক স্থাপন ও ১ (এক) লক্ষের অধিক গ্রাজুয়েটকে (যার মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী) সর্বাধুনিক আইটি দক্ষতাসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান। তাঁর নেতৃত্বে ১০০০ স্টার্ট আপকে প্রণোদনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশে প্রথমবারের মত সরকারি এক্সিলারেটর স্থাপন এবং স্টার্ট আপদের বিকাশে এবং স্টার্ট আপদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করে। জাতিসংঘের ই-গভার্নেন্স র্যাংকিং-এ বাংলাদেশ প্রায় ৫০ ধাপ এগিয়েছে। গ্লোবাল অনলাইন ওয়ার্কফোর্সে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে আবির্ভূত হয়। বাংলাদেশের আইটি ও আইটি জাত রপ্তানি পূর্বের তুলনায় দশ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সারা দেশের স্কুলগুলোতে তিনি ৬০০০ (ছয় হাজার) এরও বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। WITSA পাবলিক সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, ASOCIO ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ২০১৬ এবং মোবাইল গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ অর্জন করে।
জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদান :
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দুর্দম ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠাকাল-১৯৯০। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আলোকিত সমাজ, বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান-১৯৯৯। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সম্পাদক ও প্রকাশক, সাপ্তাহিক আলোকিত চলন বিল পত্রিকা। শিক্ষা ক্ষেত্রে সিংড়া উপজেলার ছাত্র-ছাত্রদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে অদম্য মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদানের জন্য ‘চলনবিল শিক্ষা উৎসব’ চালু করেন।
সিংড়া অত্যাধুনিক ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য যুব সমাজকে খেলাধুলায় আকৃষ্ট করতে ‘চলনবিল গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট’ আয়োজন এবং প্রতি বছর বহুল জনপ্রিয় চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী নৌকা-বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন তারুণ্যদীপ্ত বরেণ্য রাজনীতিবিদ জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে অবহেলিত চলনবিলের উন্নয়নে গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে সিংড়াকে একটি আধুনিক উপজেলায় পরিণত করেছেন।
বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরেই যার অবদান অনস্বীকার্য তিনি জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।