তুলা আমাদের রফতানি অর্থনীতির লাইফলাইন: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) হোটেল রেডিসনে দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ভারত কটন মেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তৈরি পোষাক শিল্পের বৈদেশিক বাণিজ্য আগামী ৫ বছরে দ্বিগুণ করতে বাংলাদেশ যে সংকল্প করেছে তাতে ভারতের রফতানিকৃত তুলা এ শিল্পে শীর্ষ স্থান পাওয়া উচিত।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ঐতিহাসিকভাবে সকল সু্বিধা সমৃদ্ধ বন্ধু হিসেবে দুই দেশের জয় জয় পরিস্থিতির জন্যই ভারত এ তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত। উভয় দেশ গ্লোবাল টেক্সটাইল ব্যবসায়ের অন্যান্য প্রতিযোগীদের জন্য একটি কঠিন প্রতিযোগিতার অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মতলুব আহমদ, আইসিএএল (ইন্ডিয়ান কটন এসোসিয়েশন লিমিটেড) প্রেসিডেন্ট মহেশ শারদা বিসিএ (বিডি কটন অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি সুলতান রিয়াজ চৌধুরী।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), ইন্ডিয়ান কটন অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড (আইসিএল), ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এ মেলার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০টিরও বেশি ভারতীয় সংস্থা এ মেলায় অংশ নিয়েছে যা সত্যিই উৎসাহজনক। এটি মেলায় আসা দর্শনার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক দামে, কম দামে, পরিবহনে এবং সরবরাহকারীদের সহজ প্রবেশাধিকারসহ ভারতে উচ্চমানের তুলা সরবরাহ করতে ভারত সম্পর্কে ধারণা দেবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তুলা আমাদের রফতানি অর্থনীতির লাইফলাইন হিসাবে দাঁড়িয়েছে। তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারী দেশ হিসাবে তুলা আমদানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের প্রায় ৪২ টি দেশ থেকে তুলা প্রয়োজনের ৯৮ শতাংশ এরও বেশি আমদানি করতে হয়। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬১ লাখ বেল তুলা আমদানি করা হয়েছিল। সুতা আমদানির উপর অত্যাধিক নির্ভরতা এখন তুলা উৎপাদনের দিকে ধাবিত করেছে।
আমরা সবাই জানি গত দশ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুতা উৎপাদন লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে যা ৭০ হাজার বেল থেকে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার বেলে উর্ত্তীণ হয়েছে। তবে আমাদের বার্ষিক প্রায় ৮০ লাখ বেলসের চাহিদার তুলনায় দেশীয় উৎপাদন এখনও অপ্রতুল।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরের পাঁচ বছরে তার পোশাক রফতানি দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে তার শীর্ষ সরবরাহকারী থেকে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন সুতির আমদানি বজায় রাখাতে গুরুত্ব দেবে। আমরা জানি যে ভারত বিভিন্ন জাতের তুলা উৎপাদন করে। বিভিন্ন মান, বৈশিষ্ট্য, রং এর তুলা বিশ্বকে এ বাজারে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে গড়ে তুলেছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এ মেলা তুলার উৎপাদন সুবিধার্থে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এটি সুতার প্রাসঙ্গিক খাত এবং স্টেকহোল্ডারগুলোকে যথেষ্ট উৎসাহ তৈরি করবে এবং নেটওয়ার্কিং এবং আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগ গড়ে তুলবে।
আমি কোভিড -১৯ এর মহামারীকালীন সময়ে, মেলার পিছনে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য সমস্ত বিদেশি এবং স্থানীয় প্রদর্শনী, ক্রেতা, দর্শক এবং আয়োজকদের কাছে আমার আন্তরিক সম্মান জানাই। বাংলাদেশ-ভারত কটন মেলার এই সংস্করণটি প্রতিটি সাফল্যের জন্য কামনা করি।