শিরোনাম

South east bank ad

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: কৃষিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরে অবশ্যই তাদের যোগসাজশ আছে কিন্তু বিচার করতে গেলে প্রমাণ লাগে। প্রমাণসাপেক্ষে অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তারা যদি অর্থ দিয়ে থাকে বা অন্যভাবে সহযোগিতা করে থাকে, তারা কেউই রেহাই পাবে না।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। ভাস্কর্য শৈল্পিক দিক। মূর্তি ও ভাস্কর্য এক জিনিস নয়। যারা এর অপব্যাখ্যা করে তাদের জানার অনেক ভুল রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা মহামানবের ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

তিনি বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এ মাসের ১৬ তারিখে বাংলাদেশকে হানাদার ও শত্রুমুক্ত করি। এর আগে ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলকে হানাদার মুক্ত করে সদর থানায় আমার নেতৃত্বে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের কথা বলেছিলেন। আদর্শটি হচ্ছে বাঙালির জাতীয়তাবাদ, একটি অসাম্প্রদায়িক ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র ব্যবস্থা সমাজ ব্যবস্থা। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যারা পাকিস্তানি বাহিনীর দালালি করেছে, পাকিস্তানি বাহিনীর উচ্ছিষ্ট ভোগ করেছে- তারা কিন্তু কোনোদিন সহজভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় মেনে নেয়নি। তাদের দোসররাই দেশবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম।

পরে তিনি টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় অংশ নেন। টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: