শিরোনাম

South east bank ad

বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবনটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস--মোস্তাফা জব্বার

 প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবনটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস। তিনি বাঙালি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের মহানায়ক। তিনি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একটি জাতিকে দূরদর্শীতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে থেকে গেছেন । এরকম একজন মানুষকে তুলনা করার জন্য পৃথিবীতে আর একজন রাজনীতিককে খুঁজে পাওয়া যাবেনা বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারি ইউনিয়ন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। dak o teli মন্ত্রী দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাষার দাবি, ৪৮ সালে ছাত্র লীগ প্রতিষ্ঠা এবং ৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শীতার সাথে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে প্রতি ইঞ্চি মেপে মেপে পা ফেলেছেন। সে কারণে আজকে বঙ্গবন্ধুকে যখন স্মরণ করি তখন ভাবতে হবে বঙ্গবন্ধুর নীতি –আদর্শ নিয়ে আলোচনা খুবই জরুরী। ষাটের দশকের রাজপথের লড়াকু সৈনিক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু ৪৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন । ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব পাশ কাটিয়ে দুটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধু মেনে নেননি। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত জনগণকে সংগঠিত করে জনগণকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতার লড়াই করেছেন তিনি। এই ভূ-খণ্ডের গোটা জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অসীম দূরদর্শিতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন , বাঙালি ভাগ্যবান তারা একজন বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলো। আমরা ভাগ্যবান তার রক্তের উত্তরসূরী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। তার হাত ধরেই জাতির পিতার লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের রূপান্তরের জন্য ২০ বছরের দরকার নেই। আমরা ২০৪১ সালের আগেই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো।তিনি বলেন অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও আমরা শেখ হাসিনার শাসনকালের ১৬ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। করোনাকালে যতটা ডিজিটাল পর্যায়ে চলা উচিৎ সে দিক থেকে পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর তুলনায় পিছিয়ে নেই। তিনি বলেন, পঁচাত্তর থেকে ৮১সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসররা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে আসতে দেয়নি। ৮১ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তনের পর ৯৬ সাল পর্যন্ত জনগণকে সংগঠিত করতে তিনি বঙ্গবন্ধুর পথে হেটেছেন। আজকের এই বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর ৯৬ সালে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি নিজের হাতে কম্পিউটার এবং ডায়াল আপ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডাক অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো: সিরাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশিদ, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেম উদ্দিন হাওলাদার এবং মহা-সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান প্রমূখ বক্তৃতা করেন। ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু মতো একজন রাজনীতিক পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি সারা জীবন শোষিতে অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করেছেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তিনি ৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের আন্দোলন করতে গিয়ে বহিস্কার হয়ে ছাত্রত্ব হারান কিন্তু মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ার প্রস্তাব সত্বেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন দুরদৃষ্টি সম্পন্ন রাষ্ট্র নায়ক। স্বাধীনতার পর প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয় করণ করার মধ্য দিয়ে তিনি একটি মেধাবি বাংলাদেশ বিনিমার্ণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। পরে ১৫ আগস্ট শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: