মন্ত্রিসভার অনুমোদন: প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার শিশুসন্তানের লেখাপড়ার খরচ বহন করবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট। এমন বিধান রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২২-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন পায়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে জানান, এই ট্রাস্ট হবে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। প্রয়োজনে সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। ২১ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সদস্য সচিব হবেন মহাপরিচালক মনোনীত একজন শিক্ষক। ট্রাস্টিরা তিন বছর বোর্ডের সদস্য থাকতে পারবেন।
সচিব জানান, শিক্ষকদের একটি তহবিল থাকবে। সেই তহবিলের অর্থ ট্রাস্টি বোর্ড অনুমোদিত কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হবে। যে তহবিল তৈরি করা হবে তার টাকা শিক্ষকদের কাছ থেকে কাটা হবে। চাঁদার হার বিধি ধারা নির্ধারিত হবে। তহবিল থেকে শিক্ষক ও তাদের পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানের শিক্ষা সহায়তার জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা বা বৃত্তি দেওয়া হবে। বৃত্তিমূলক ও অন্যান্য পেশাগত প্রশিক্ষণের জন্যও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার
অপ্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান থাকলে তাদের লেখাপড়ার খরচ বহন করবে ট্রাস্ট। এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এই সাহায্য দেওয়া হবে। এটি দেওয়া হবে এককালীন।
দ্বৈত করারোপ পরিহারে চুক্তি
ইরান ও মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তিতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য গতকাল দুটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে যে রকম চুক্তি আছে, এই দুটিও সে রকম বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।