শিরোনাম

South east bank ad

করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র ও কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া প্রয়োজনঃ পলক

 প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র ও কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া প্রয়োজনঃ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সারাদেশের ন্যায় নাটোরে করোনা সংক্রমণের হার অনেকাংশে বেড়েছে। গত ১৩ মাস ধরে নাটোরে করোনা পরিস্থিতি ভালো ছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে গেছে। জাতীয় সংক্রমণের হারের চেয়েও নাটোরে সংক্রমণের হার বেশি। এই পরিস্থিতিতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে নাটোর জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হলে সকলকে মাস্ক পরিধান করা, ভ্যাকসিন গ্রহন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসাধারণকে অপ্রয়োজনে বাইরে না বেড়ানোসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। জেলার সাতটি উপজেলার সাতটি হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেই অক্সিজেন ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কাজেই সচেতনতা ছাড়া করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়। তবে সরকার অক্সিজেন সরবরাহের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সিংড়ায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হয়েছে। নাটোর সদর হাসপাতালেও খুব শিগগিরই চালু করা হবে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নাটোর আধুনকি সদর হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হলে সেখানে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করে করোনার চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু ঠিকাদার কাজে বিলম্ব করছে বিধায় সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য তাদের বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। এটা ঠিকাদার বা স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতি কিনা তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

ত্রাণ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রাখা ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য সরকার নাটোরে প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বরাদ্দকৃত এসব অর্থ সঠিকভাবে বন্টন ও তাদের কাছে পৌঁছে দিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে কিউ আর কোড দিয়ে দরিদ্রদের মধ্যে এসব সহায়তা বিতরণ করা হবে। যাতে কেউ প্রতারিত না হয়।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রত্মা আহমেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান প্রমুখ।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: