নিউ নরমাল
মির্জা ইয়াহিয়া:
করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের বসবাস কয়েক মাস হয়ে গেছে। এখন সারা পৃথিবীতে একটি শব্দ খুব জনপ্রিয়। সেটি হচ্ছে, নিউ নরমাল বা নতুন স্বাভাবিকতা। মানে করোনাকে সাথে করেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে আমাদের। সেই মতো আমিও এখন অফিস করছি। কিন্তু আসা-যা্ওয়ার সময় মুখে পরিধান করছি মাস্ক। অফিসে কারও সাথে কথা বলার সময়ও মাস্ক পরে থাকি। কিন্তু ঢাকা শহরে আগে আমি কখনোই মাস্ক ব্যবহার করিনি।
যাদের অ্যাজমা আছে, ধুলাবালিতে, কালো ধোঁয়ায় সমস্যা হয়- এমন কেউ কেউ এই নগরে মাস্ক পরে চলতেন। সেই মাস্ক এখন সবার মুখেই দেখা যাচ্ছে। রাণি এলিজাবেথের পোশাকের সাথে ম্যাচ করা মাস্ক পরা কিছু ছবি ফেসবুকে দেখলাম। করোনার শুরুর দিকে প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের একটি নিউজ আমার চোখে পড়েছিলো। তিনি নাকি সেই ২০-২৫ বছর আগে মাস্ক ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হয় তিনি জীবাণু থেকে বাঁচতে এটা করতেন। মাস্ক নিয়ে জাপানের কিছু নিউজ পড়ে আমি বিস্মিত হয়েছি। মাস্ক তৈরি করতে জাপানিরা নাকি আন্ডারওয়্যারে কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। মাস্ক বানাতেই সেখানে সেলাই মেশিন ক্রয়ের হিড়িক পড়ে গেছে। সর্বশেষ যেটা পড়ে ভালো লেগেছে, সেটা হলো জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঘোষণা দিয়েছেন- সব বাড়িতে বিনামূল্যে মাস্ক পৌঁছে দেয়া হবে।
এদিকে করোনার সময়ে আমাদের দেশেও বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। না পরলে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। এটা বাস্তবায়ন করতে মোবাইল টিমও নাকি নামবে। এই ভয়ে অনেকেই মাস্ক পরছে। রাস্তায় মানুষের মুখে বা থুতুনিতে রাখা নানা রংয়ের নানা ডিজাইনের মাস্ক দেখি। এমনও শুনছি পোশাকের সাথে ম্যাচ করা মাস্কও নাকি আসবে পোশাকে শোরুমে। এটাই হয়তো নিউ নরমাল জীবন। এই পরিস্থিতি মেনে নিয়েই সামনের দিকে তাকাতে হবে। তবে সবাইকে সতর্ক হয়ে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মুখে পরতে হবে মাস্ক।
(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)


