করোনা প্রতিরোধের চলমান উপায়গুলোকে দৈনিন্দন অভ্যসে পরিণত করতে হবে
স. ম. গোলাম কিবরিয়া :
অফিসের পথে মেসেঞ্জারে পাওয়া শুভ সকালের উত্তর দেই প্রতিদিন। সেইসাথে নিজেও প্রিয়জনদের জানাই শুভ সকাল বার্তা। বর্তমান সময়ে স্বভাবতই সেই বার্তায় প্রত্যাশা থাকে করোনা প্রাদুর্ভাব বা মহামারী থাকে যেন সবাই রক্ষা পাই। আজ সকালে করোনা বা মহামারিমুক্ত বিশ্বের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শুভ সকাল জানালাম। শ্রদ্ধেয় একজন মহোদয় (স্যার) উত্তরে জানালেন, কখনই তেমন পরিবেশ আসবে না। তাই এমন পরিস্থিতি মেনে নিয়েই চলতে হবে। ভাবনা জাগলো আসলেই কি আসবে না ফেলা আসা সেই সুন্দর দিনগুলো? যা কিছু পেছনে চলে যায়, তাকে কি বর্তমানে ফিরে আনা যায়? চাই টাইম মেশিন? কিন্তু বিজ্ঞান তো নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আরো সুন্দর দিনের উপহার নিয়ে আসে। আমরা কি পারবো না করোনাকে কি নির্মূল করে সুন্দর পৃথিবী সাজাতে?
কিন্তু কেন সম্ভব নয়? অনেক ভাইরাসকেই তো নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অনেক দেশ পোলিও ভাইরাস নির্মূল করেছে। বাংলাদেশও কিছু প্রশ্নসহ সেই তালিকায় আছে। অভিবাসন বা আন্তদেশীয় চলাচলের কারণে হয়তো তা বাঁধাগ্রস্থ হয় মাঝে মাঝে। নিউজিল্যান্ড করোনামুক্ত হয়েছিল। নতুনভাবে দুজন সনাক্ত হয়েছে- সেই আন্তদেশীয় চলাচলের কারণে। এনথ্রাক্স, ইবোলা ভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসই বিজ্ঞানের কারগারে বন্দি। অবশ্যই বিজ্ঞান পারবে করোনামুক্ত বিশ্ব গড়ার উপায় বের করতে। এজন্য কূপমন্ডুকতা পরিহার করতে হবে, বিজ্ঞানকে কাজ করতে দিতে হবে- নির্বিঘ্নে, নিরবিচ্ছন্নভাবে। প্রয়োজন তাই হঠাৎ করে সমাধানের পথ বের করার নাম বিজ্ঞান নয়, বিজ্ঞান চলে গবেষণার পথে, সময়ের সাথে, সময়ের পথে। সেই উপায় উদ্ভাবনের আগ পর্যন্ত আমাদের চলতে হবে করোনার সাথে। সতর্ক থাকতে হবে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য। করোনা প্রতিরোধের চলমান উপায়গুলোকে দৈনিন্দন অভ্যসে পরিণত করতে হবে। অবশ্যই একদিন আমরা ফিরে পাবো করোনামুক্ত বাংলাদেশ, করোনামুক্ত বিশ্ব, আরো উন্নত বিশ্ব। বিজ্ঞানের জয় হোক।
( চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের এর মহাপরিচালক ও তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স. ম. গোলাম কিবরিয়া এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া )