প্রসঙ্গ করোনা : স্টিগমাটাইজেশন থেকে বের হয়ে আসা কি খুব কঠিন?

(এহছান খান পাঠান):
সংক্রমিত হলেই যে কেউ অচ্ছুত হয়ে যায় না এ বিষয়ে সরকার ও গণমাধ্যমকে আরও স্ট্রংলি প্রচার করতে হবে। মারা যাওয়ার পর তার জানাজায় মানুষ হচ্ছে না—এ ধারণা থেকেও মানুষ তথ্য লুকাচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে তথ্য লুকিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন রোগীরা, আর তথ্য লুকানোর কারণে তাদের থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমনকি, করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিরাও প্রায়শই প্রতিবেশীদের বিরূপ আচরণ এবং নানা ধরনের হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের বহু চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পেশার মানুষ অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্কে বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা তাদের বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন। নানা প্রকারের কটূক্তিও করছেন।
স্টিগমার জন্য নেতিবাচক সবকিছু বর্জন করতে হবে।
(এহছান খান পাঠান, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ, ঢাকা।