ছাদকৃষি : বাসাবাড়িতে উৎপাদিত টমেটো দিয়েই দৈনন্দিন রান্নার চাহিদা মিটাতে পারছে অনেকেই
মির্জা ইয়াহিয়া :
করোনাভাইরাস আসার পর ঢাকা শহরে ছাদবাগান বা ছাদকৃষি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটা নিয়ে আমি আগেও ফেসবুকে লিখেছি। এবার নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
আমাদের দেশে এখন টমেটোর সময়। ঢাকা সিটিতেও এই মাসে টমেটোর দাম সাধারণত অনেক কম থাকে। বাজারে পরিস্থিতি এখন কিছুটা এমন। কিন্তু নগরীর অনেকেই এবার আর বাজার থেকে টমেটো কিনছে না। নিজের বাসাবাড়িতেই টমেটো উৎপাদন করছে। কেউ ছাদে রাখা টবে করছে। কেউ আবার ছাদেই বড় বড় বেড বসিয়ে চাষ করছে। ছাদে জায়গা না থাকলে বারান্দায় টবেও টমেটোর চাষ করছে। আমার পরিচিত অনেকেই ফেসবুকে ছবিসহ এসব তথ্য তুলে ধরছে। তাদের টমেটো চাষ ও সংগ্রহের নানা কিছু দেখে কিন্তু ভালোই লাগে।
অবাক করা বিষয় হলো বাসাবাড়িতে উৎপাদিত টমেটো দিয়েই দৈনন্দিন রান্নার চাহিদা মিটাতে পারছে অনেকেই। বিশেষ করে চেরী টমেটো গাছ অল্পকিছু থাকলেও হয় যাচ্ছে। কারণ এগুলোর ফলন অনেক বেশি। তাই চেরি টমেটো জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
বাসার ছাদে বা বারান্দায় টমেটো চাষের দিকটি অনেক পজিটিভ। কারণ এতে রাসায়নিকমুক্ত সবজি পাওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত থাকা যায়। চাষের ক্ষেত্রে বা টমেটো পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন থাকেন, তারা চাইলেই ঢাকা শহরের ঘরের বারান্দা বা ছাদে অল্প জায়গায় টমেটো চাষ করতে পারেন। এই ধরনের কাজে থাকলে শরীর-মনও ভালো থাকে।
পরিশেষে সবার জন্য শুভ কামনা থাকলো।
(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)