আমরা সাধারণ নাগরিকরা মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই
মির্জা ইয়াহিয়া:
ঢাকা শহরে ঘরে ঘরে একটি উপকরণ এখন অবশ্যই চোখে পড়ে। এটা হচ্ছে মশা মারার ব্যাট বা র্যাকেট। যেটা পাঁচ-ছয় বছর আগেও এতো বেশি ছিলো না। এখন মশা অনেক বেড়ে গেছে। তাই ব্যাটের ব্যবহারও অনেক বেশি।
ঘরে বসে টিভি দেখার সময় হাতে ব্যাট নিয়ে বসে থাকতে হয়। কারণ মশার যন্ত্রণায় শান্তিতে স্থির হয়ে বসে থাকা যায় না। ব্যাট দিয়ে মশা মারতে হয়। নইলে মশা তাড়াতে হয়। মশার মতো একটা সামান্য কীটের পেছনে এভাবে আমাদের সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। ব্যয় করতে হয় টাকাও। কারণ মশার ব্যাট কিনতে তো খরচ করতে হয়েছে।
এই মৌসুমে মশা বৃদ্ধির পর মশা মারার ব্যাটের বাজার অনেক চাঙা হয়েছে। তাই সুযোগ বুঝে দোকানদাররা এর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবু মানুষ বাধ্য হয়ে ব্যাট কিনছে। কারণ মশার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে সব চেষ্টাই করে যাচ্ছে নাগরিকরা। এখানে আরো একটা বিষয় বলি, ঢাকা শহরে যে ব্যাটগুলো পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি করা। তার মানে মশার কারণে আমদানি-রপ্তানির একটা ব্যাপারও কিন্তু আছে।
টাকা খরচ হলেও ব্যাট ঘরের ভেতরে মশক নিধনে অনেক কার্যকর। তবু ব্যাট ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে রান্নাঘরে ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ কোনো কারণে গ্যাস বের হলে, ব্যাটের স্পার্ক থেকে আগুন ধরে যেতে পারে। সম্প্রতি ফেনীতে এমন দুর্ঘটনার একটি খবর দেখেছি। তার জন্য মশা মারার ব্যাট শিশুদের ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।
পরিশেষে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান থাকবে, মশা প্রতিরোধে আরো সক্রিয় হতে হবে। আমরা সাধারণ নাগরিকরা মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই।
(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)
