শিরোনাম

South east bank ad

সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা

 প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার


মির্জা ইয়াহিয়া :

ফুল আমরা সবাই পছন্দ করি। প্রিয়জনকে ফুল উপহার দেয়ার সংস্কৃতিও বহু দিনের। ঘর সাজাতে ফুলের কোনো জুড়ি নেই। কিন্তু করোনাভাইরাস আসায় প্রাকৃতিক ফুল দূর থেকেই দেখতে পছন্দ করছে মানুষ। কেউ কিনে বাসায় নিচ্ছে না। তার চেয়ে কৃত্রিম ফুল - কাপড় ও প্লাস্টিকের তৈরি ফুলের চাহিদা বেড়েছে। মানুষ এভাবেই একটার বদলে অন্য কিছু গ্রহণ করে নেয়।
এখন আবার আসার পথে ফাল্গুন। আসবে ভ্যালেনটাইন ডে। তারপরে আসবে অমর একুশে। এসব দিনে ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আবার হয়তো প্রাকৃতিক ফুলের দিকে ঝুঁকবে সবাই। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণ কমেছে। ভ্যাকসিনও এসেছে আমাদের দেশে। সবাই নতুন করে ফুলের কদর করবে, এই আশা করছে হাজার হাজার মানুষ। কারণ তাদের জীবন-জীবিকার উৎস এই ফুল। এর চাষ থেকে বেচাবিক্রি পর্যন্ত অনেকগুলো ধাপ আছে। এসব ধাপে থাকা চাষী থেকে শুরু করে বিক্রয়কর্মী - সবাই করোনাভাইরাসের কারণে বিপদে পড়েছেন। কারণ লকডাউনের স্থবিরতায় কয়েক মাস ব্যবসা বন্ধ ছিলো। আবার করোনা থেকে সুরক্ষায় মানুষ বাইরে থেকে ফুল কম কিনছে। তাই এই সেক্টরে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। অনেকে বেকার হয়েছেন। কেউ অন্য কাজে চলে গেছেন।
এখন জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে বিয়ের মৌসুম শুরু হয়েছে। কিন্তু সেভাবে বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এই কারণে বিয়েকেন্দ্রিক ফুল বেচাবিক্রি প্রত্যাশিত নয়। তবু অন্যান্য সেক্টরের মতো ফুল চাষীরাও বসে থাকেননি। তারা সক্রিয় থাকায় যশোরে মাঠের পর মাঠ ফুলে ছেয়ে আছে। ঢাকার পাশে সাদুল্লাহপুরেও গোলাপের বাগান ভরে যাচ্ছে ফুলে। রাজধানীতে শাহবাগ ও খামারবাড়ির পাইকারি ফুল ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুত। আর হকার হিসেবে যারা রাস্তার সিগন্যালে ফুল বিক্রি করে, তাদেরও দেখছি প্রায় প্রতিদিনই। ফুলের মাধ্যমে যারা এভাবে রুটি-রুজি টিকিয়ে রাখছে, তাদের জন্য আমাদেরও দায়িত্ব আছে। আসুন আমরা ফুল কিনে তাদের পাশে থাকি। সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা।

(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)

BBS cable ad

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: