নাগরিকদের বন্দুক দিচ্ছে ইউক্রেন, শেখাচ্ছে বোমা তৈরি
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
টানা উত্তেজনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলা চালিয়েই বসল রাশিয়া। গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে হামলার সূত্রপাত হয়। গোটা বিশ্বের নজর এখন এ দুই দেশের দিকে।
রুশ সেনাদের হামলার মুখে পিছিয়ে নেই ইউক্রেন। দেশটি দাবি করছে, তাদের সৈন্যরা এ পর্যন্ত সহস্রাধিক রুশ সেনাকে হত্যায় সমর্থ হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধ সরঞ্জামও ধ্বংস করছে।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, কিয়েভের কাছে সৈন্যরা একটি বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর ২০০ সৈন্যকে হত্যা করেছে।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জনগণের উদ্দেশে রুশ আগ্রাসন রুখে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবীদের ১৮ হাজার বন্দুক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বোমা তৈরির কৌশল শেখানো হচ্ছে।
এর মধ্যেই আবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর উদ্দেশে নেতৃত্ব উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে বসতে রাজি রাশিয়া, এমনটিই বলছে ক্রেমলিন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিকে অন্যতম বড় হামলার ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক এক লাখ বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।