দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এত বড় হামলা দেখেনি কেউ
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ইউক্রেন ‘যুদ্ধ’ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, ওডেসা-সহ ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় একের পর এক হামলা করছে রাশিয়া।
এরই মধ্যে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, যে দেশ সেই ‘সামরিক অভিযানে’ হস্তক্ষেপ করবে, তাদের ফল ভুগতে হবে। পালটা আমেরিকাও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রাশিয়ার ‘সামরিক অভিযানের’ জবাব দেওয়া হবে।
রাশিয়া গতকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে ইউক্রেনের স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামলা চালিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো একটি দেশের ওপর আরেকটি দেশের এত বড় হামলা এই প্রথম।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে সর্বশেষ কী ঘটছে; তা তুলে ধরা হলো-
ইউক্রেনের কিয়েভে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইউনিট এলাকায় ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
মস্কোর মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পূর্ব ইউক্রেনের দিকে ‘এগিয়ে গিয়েছে’। তবে সাধারণ নাগরিকদের ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে মস্কো।
সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সেনার মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১০ জন সাধারণ নাগরিকও মারা গেছে।
কিয়েভ, ওডেসা-সহ ইউক্রেনের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
প্রায় ৫০ জন রাশিয়ান সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এ যুদ্ধ পুতিনের পূর্বপরিকল্পিত। ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর ‘চরম নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার এ হামলাকে আগ্রাসন বলতে নারাজ চীন। দেশটি সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছে।
এ হামলার পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলোনস্কি রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বিশ্ব নেতাদের কাছে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পুতিন ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চান।
রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, লুহানসকে দখল করে নেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার সংবাদসংস্থাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়া দাবি করেছে যে ইউক্রেনের সেনাঘাঁটি এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লুহানসকে পাঁচটি রাশিয়ান বিমান এবং একটি হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামানো হয়েছে। এমনই দাবি করেছে ইউক্রেন।
প্রাণভয়ে মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় কিয়েভবাসীর।
ইউক্রেন সাধারণ বিমান পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে।