শিরোনাম

South east bank ad

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার কর্মসূচি প্রায় সম্পন্ন

 প্রকাশ: ১১ অগাস্ট ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   তথ্য প্রযুক্তি

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অব্যাহত রাখা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আধুনিকায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের অবদান অপরিসীম। এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ERP) সিস্টেম, ভৌগলিক তথ্য সিস্টেম (GIS), মিটারিং-বিলিং-কালেকশন (MBC) সিস্টেম, তদারকি নিয়ন্ত্রণ এবং ডেটা অর্জন (SCADA) সিস্টেম, ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন, স্মার্ট গ্রীড সবই এ প্রযুক্তির সহযোগিতায় করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত দৈনন্দিন জীবনকে আরো ডিজিটালাইজড, আরো সংযুক্ত, আরো স্বয়ংক্রীয় করে জীবন ধারণ পদ্ধতিকে সহজ থেকে সহজতর করে দিচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আজ ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বায়োটেকনোলজি স্থাপন সংক্রান্ত ত্রি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার কর্মসূচি প্রায় সম্পন্ন। মানুষ এখন বিদ্যুৎ পেয়েই খুশি নয়, তারা মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে এ খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্মার্ট গ্রীড, স্মার্ট মিটার, ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন, ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের তার, স্ক্যাডা প্রভৃতির সফল প্রয়োগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে। এ সময় তিনি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিজিটালাইজড হওয়ায় সংশ্লীষ্টদের ধন্যবাদ দেন। সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ বায়োটেক যুগে প্রবেশ করছে উল্লেখ করে বলেন চায়না ভিত্তিক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড বাংলাদেশে তাদের প্লান্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন কোপেক্সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী হার্ডওয়্যার ও সফট্‌ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ হচ্ছে নিরাপদ ও সম্ভাবনাময়ী গন্তব্য। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ কোটি মোবাইল ফোন ও ৫ লক্ষ ল্যাপটপ বিদেশ থেকে আমদানি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার সফট্‌ওয়ার উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে চাহিদার ৩০ শতাংশ মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন কালিয়াকৈরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’ দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক। ২০১৪ সালে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ সরেজমিনে এই পার্কটি পরিদর্শন করে পার্কের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৫টি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন এসেম্বলিং ও উৎপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। ইতোমধ্যে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং প্রায় ১৩০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ২০২৫ সনের মধ্যে হাই-টেক পার্কগুলোতে ২৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আমরা আশাবাদী। ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড। এলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্লক-২ এ ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-তে তারা ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ, প্রায় ২০০০ জনের উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বায়ো-প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে যা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়। ওরিক্স বায়ো-টেক লি. এখন ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। উন্নত বিশ্বে এখন (বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরেোপ, চীন, জাপান) বায়ো-টেকনোলজির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মূলত Human Plasma (হিউম্যান প্লাজমা) থেকে বায়ো-টেক পণ্য উৎপাদিত হয়। এইচআইভি এইডস এবং ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় এসব বায়ো-টেক ঔষধ এখন ব্যবহার হচ্ছে। ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-তে বছরে ১২০০ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে চায় যার সাথে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নত বিশ্বের মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বায়ো-টেক পণ্য সহজলভ্য হবে। ভার্চুয়াল এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস হোসনে আরা বেগম , সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আজিজ খান , অরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী শাকিল ও অরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড বো (David Bo ) সংযুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
BBS cable ad

তথ্য প্রযুক্তি এর আরও খবর: