রাইড শেয়ারিং নীতিমালায় বাড়তি ভাড়ার ‘উস্কানি’

চালুর দেড় বছর পর অ্যাপভিত্তিক ‘রাইড শেয়ারিং নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে সরকার। ভাড়ার দিক বিবেচনায় ও সহজলভ্যতার কারণে রাইড শেয়ারিং সেবা রাজধানীতে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে নীতিমালায় রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়ায় লাগাম টানার পরিবর্তে ‘উস্কে’ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে পাস হওয়া নীতিমালা থেকে জানা যায়, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলকে একই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ দু’টি যানে ভাড়া, যাত্রী ধারণক্ষমতা ও ক্যাটাগরিতে বিশাল ফারাক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা বিআরটিএ ‘রাইড শেয়ারিং নীতিমালা’ না করে অনেকটা ‘ট্যাক্সি সার্ভিস নীতিমালা’ তৈরি করেছে। এ কাজে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটি বৈঠকও করেনি তারা। ফলে ভাড়া ট্যাক্সি ক্যাবের সমান রাখার কথা বলা হয়েছে।
এ সুযোগে যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে সেখানে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারকে এক করে ফেলা হয়েছে।
তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নীতিমালা নিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, নীতিমালা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় বৈঠকে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ৩১ জানুয়ারি বিআরটিএ অফিসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে অ্যাপস প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, যাত্রী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন।
তবে অনুমোদিত নীতিমালার বিভিন্ন দিক নিয়ে এরইমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন স্টেক হোল্ডররা। আর যাত্রীরাও ভাড়ার বিষয়টি নীতিমালায় ঠিক না করায় অসন্তোষ জানিয়েছেন।
৮টি অনুচ্ছেদে ৪৬ বিষয় উল্লেখ রয়েছে। প্রথম অনুচ্ছেদের ৭ নম্বরে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ও মোটরযান মালিকের যে চুক্তি থাকবে তা শেষ করতে হলে ১ মাস আগে নোটিস করতে হবে।
এ নিয়মে একটি অ্যাপ ছেড়ে অন্য অ্যাপে যেতে অনুমতির মতো জটিলতা লাগবে। রাইড শেয়ারিং নিয়মে মোবাইলে যখন ইচ্ছে যেকেনো অ্যাপে যে কেউ এ সেবা দিতে পারেন।