যাত্রা শুরু ই-সেলার বাজার ডটকমের
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণ সমাজকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। আর বর্তমানে বাংলাদেশ সেদিকেই যাচ্ছে। আর সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো ই-সেলার বাজার ডটকম। ই-কমার্স ব্যবসার পরিধি বাড়াতে নতুন উদ্যোক্তারাই আগামীর বাংলাদেশের প্রথম কাতারের সৈনিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করল ই-সেলার বাজার ডটকম (https://esellerbazar.com)। ১৬ জুন রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এই ই-সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সেবার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের বিস্তারিত সরাসরি তুলে ধরতে পারবেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে সেসব পণ্য কিনতে পারবেন একজন ক্রেতা।
তিনি আরো বলেন, আজকের আমাদের তরুণ প্রজন্ম এই কাজগুলো করতে এতে যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে অন্যদিকে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের প্রান্তিক মানুষ এই সেবাগুলোর মাধ্যমে উপকৃত হবে। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করবে।
সাড়ে তিন বছর আগে সিরাজগঞ্জে ছোট পরিসরে সিরাজগঞ্জ শপ নামের একটি ই-সেবা কার্যক্রম চালু করেন ই-সেলার বাজার ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল রানা।
ই-সেলার বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল রানা জানান, উৎপাদক ও ক্রেতার মাঝে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছেন। দেশের প্রান্তিক উদ্যোক্তারা যেন তাদের পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা তাদের অন্যতম লক্ষ। এ সেবার মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে লাভবান হবেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সাতক্ষীর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক এস এম কামাল হোসেন, এসেনসিয়াল ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল করিম জগলুল, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক শিশুশান্তি পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাদাত রহমান।
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে সিরাজগঞ্জে ছোট পরিসরে সিরাজগঞ্জ শপ নামে একটি ই-সেবা কার্যক্রম চালু করেন ই-সেলার বাজার ডটকমের ব্যবস্থপনা পরিচালক জুয়েল রানা।পরবর্তীকালে সারাদেশে ই-সেবা ছড়িয়ে দিতে আরও কয়েকজন উদ্যোমী তরুণের সঙ্গে ই-সেলার বাজার ডটকম চালুর সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে চার শতাধিক তরুণ-তরুণী সরাসরি কর্মরত। এছাড়া প্রায় প্রতিষ্ঠানটির কয়েকটি প্রকল্প থেকে প্রায় ৪ লাখ নারী-পুরুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছেন।