প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রযুক্তিকে মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে গত ১৩ মাসে অনলাইনে পণ্য সরবরাহ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বাণিজ্যিক ও বিচারক কার্যক্রম চলমান এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন ২০০৮ সালে দেশে মাথাপিছু পার ক্যাপিটা ইনকাম ছিল ৫০০ ডলারের নিচে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে করোনার মধ্যেও মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২ হাজার ৬৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১২ বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন এর স্টে হোম অফার "অকারণে বাইরে নয়, ঘরে বসেই পণ্য ক্রয়" শীর্ষক কর্মসূচী উদ্বোধন উপলক্ষে জুম প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় দেশে ডিজিটাল ডিভাইসের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৯৪ টি আইটেমের খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয় । এর ফলে দেশে ৮টির বেশি মোবাইল যন্ত্রাংশ সংযোজন ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ওয়ালটন ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদন এবং বিদেশেও রপ্তানি করছে।
গ্রামে বসেই একজন নাগরিক শহরের সকল আধুনিক সুবিধা যেন পায় সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি নিজস্ব পণ্য ও উদ্ভাবন দিয়ে আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ওয়ালটন পণ্য ক্রয় ভিজিট করুন waltonbd.com।
অনলাইনে সংযুক্ত অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ওয়ালটন ডিজিটেক এর চেয়ারম্যান রেজাউল আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভা রেজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, উদ্যোক্তা সাবিহা জেরিন অর্না।