মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে ১০৮ দেশ

চীন, ভারতসহ শতাধিক দেশ মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে এ দেশের উচ্চ আয়ের স্তরে উত্তরণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধির চলমান ধারা পরিবর্তন করতে দেশগুলোকে আমূল পরিবর্তনের কৌশল গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চীন, ভারত ছাড়াও আরও যেসব দেশ রয়েছে এর মধ্যে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশ।
প্রতিবেদনে উদীয়মান দেশের অর্থনীতির সঙ্গে মার্কিন জীবনযাত্রার মানের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত ৫০ বছরের শিক্ষা হলো যে, দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তারা আগের চেয়ে ধনী হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে একটি ফাঁদের মুখে পড়ে গেছে। মধ্যম আয়কে লক্ষ্য করে এগোনো দেশগুলোর মাথাপিছু আয় মার্কিন গড় স্তরের প্রায় ১০ শতাংশ বা ৮ হাজার ডলারের সমান।
১৯৯০ সাল থেকে মাত্র ৩৪টি মধ্যম আয়ের অর্থনীতি উচ্চ আয়ের অবস্থানে যেতে পেরেছে। এসব দেশেরএক-তৃতীয়াংশের বেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নে একীভূত হওয়ার সুবিধা পেয়েছে। চলমান ধারার প্রবৃদ্ধি উদীয়মান দেশগুলোকে মাথাপিছু আয়ের নিরিখে বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারবে না। মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ওপর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে। তবে এসব দেশগুলোর মধ্যে অনেকে একা বিনিয়োগের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল। যা তাদের উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে বাধা দিতে পারে। প্রবৃদ্ধির জন্য একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন হবে।
২০২৩ সালের শেষদিকে ১০৮টি দেশকে মধ্যম আয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্বব্যাংক। এসব দেশের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ হাজার ১৩৬ থেকে ১৩ হাজার ৮৪৫ ডলারের মধ্যে ছিল। মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ৬০০ কোটি মানুষের বাস। অর্থাৎ বিশ্ব জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ। এখানে প্রতি তিনজনের মধ্যে দুজন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে। এসব দেশগুলো বৈশি^ক জিডিপিতে ৪০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে।