বেকারত্ব প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই চালু থাকা দরকার: মির্জা ইয়াহিয়া
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ সারা পৃথিবীতেই শিথিল হয়ে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা। যদিও দেখা যাচ্ছে, এক দেশে থেকে আরেক দেশে গমন এখনো সহজ হয়নি। এমনকি এক এলাকা থেকে দূরে অন্য কোথাও যাওয়ার বিষয়টিও সেভাবে গতিশীল হয়নি। সবকিছু মিলে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সেক্টরের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এভিয়েশন সেক্টর। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের পরিবহনকেন্দ্রিক উড়োজাহাজে সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকা। কারণ রাষ্ট্রীয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা, নভো এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত মোট তিন মাস কোনো ফ্লাইটই চালাতে পারেনি। এ অবস্থায় সব ধরনের আকাশযান বসে ছিলো মাটিতে। এগুলো কোনো কাজেই লাগেনি। ফলে বড় লোকসানে পড়তে হয়েছে কোম্পানিগুলোকে। এ থেকে উত্তরণে তাদের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।
আশার দিক হলো গিয়ে, এখন বিভিন্ন পর্যটনস্থল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। খুলেছে হোটেল-মোটেল। ভ্রমণ সেক্টর চাঙা করতে বেসরকারি এভিয়েশন কোম্পানি থেকে বিভিন্ন অফারসহ ম্যাসেজ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় অনেকেই ভ্রমণ করার মতো আস্থা পাচ্ছে না। কারণ করোনার প্রকোপ থেমে যায়নি। তাই ফ্লাইট চালু হলেও যাত্রী এখনো কম। এটা চলতে থাকলে পরিস্থিতি ইতিবাচক হবে না। আর এতে এভিয়েশনখাতের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যেই থাকবে।
বেকারত্ব প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই চালু থাকা দরকার। এটা দেখতে চাই এভিয়েশন সেক্টরেও। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আকাশযাত্রা আনন্দে ভরে থাকুক। সবার জন্য শুভ কামনা আবারো।



(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)



