যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, কর্মক্ষমতাকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মিল রেখে এগিয়ে নিতে হবে: ডিসি অতুল সরকার
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুরে পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদদের গণকবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও গণকবরে আলোক প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
সকাল ৯ টায় বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ বাহিনী, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর মেয়র, সদর উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নীরবতা পালন, দোয়া, পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শেখ জামাল স্টেডিয়ামের পার্শ্বে অবস্থিত গণকবরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পক্ষে থেকে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, অতঃপর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামানসহ পুলিশ বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পর্যায় ক্রমে অন্যান্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান, পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক প্রফেসর মোঃ শাহজাহান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশার্রফ আলী, সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শীলা রানী মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসীন আলী, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান, নারী নেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এনামুল হক প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আমাদের বাংলাদেশ, জাতির পিতা, সংবিধান, পতাকার সম্মান সমুন্নত রাখতে হবে। অবমাননা হয় এমন কোন কিছু আমরা মেনে নেব না। সকলকে এগিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশপ্রেম সবার আগে দরকার, আমাদের দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। এটা করতে হলে স্বাধীনতা, স্বাধীনতার ইতিহাস, শহীদগণকে জানতে হবে। একই সাথে নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পালন করতে হবে। নিজ নিজ যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, কর্মক্ষমতাকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মিল রেখে এগিয়ে নিতে হবে। মুক্তিযদ্ধের চেতনাই এগিয়ে যাওয়ার মূল প্রেরণা।
দিবসের কর্মসূচি হিসেবে সূর্যাস্তের পর গণকবরে আলোক প্রজ্জ্বলন করা হবে।