তামাকের বিজ্ঞাপন রোধে জেলা প্রশাসনের অভিযান
ধুমপান এবং তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার আমাদের সমাজের সর্বস্তরব্যাপী সমস্যা। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা এই তামাক গ্রহণের সাথে জড়িত। তামাক গ্রহণ ও তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন যেনো অনেকটাই স্বাভাবিক ও গা-সওয়া হয়ে গেছে আমাদের। কিন্তু এই তামাক গ্রহণ আমাদের স্বাস্থ্য-ঝুঁকির একটি বড় কারণ। তামাক গ্রহণের কারণে ক্যান্সার, যক্ষা, অবসাদগ্রস্ততাসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জনগণ। তামাক গ্রহণ একদিকে যেমন স্বাস্থ্যহানী ঘটায় অপরদিকে তেমন সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে ও আর্থের অপচয় ঘটায়। যত্রতত্র তামাকের ব্যবহার ও ধুমপান রোধ এবং খুলনাকে তামাকের বিজ্ঞাপন মুক্ত করতে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন পিএএ ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এইড ফাউন্ডেশন, SEIAM, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও দ্য ইউনিয়ন এর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে লাইসেন্সবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিপণনকারীদের এবং তামাকের বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের তালিকা। এই তালিকাকে ভিত্তি করে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে তামাকের বিজ্ঞাপন মুক্ত করতে লাগাতার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন, খুলনা। বৃহস্পতিবার অভিযানের প্রথম দিনে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন পিএএ এর নির্দেশে এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা জনাব মোঃ ইউসুপ আলী এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় মোবাইল কোর্ট। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ তারিফ-উল-হাসান ও জনাব মোঃ তাহমিদুল ইসলাম। ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এবং ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ০৬ (ছয়) টি মামলায় ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টের অভিযানে সহযোগিতা করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যগণ, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যগণ এবং এইড ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি। তামাকের ব্যবহার রোধে এবং খুলনা মহানগরীকে তামাকের বিজ্ঞাপন মুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

