ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং
এইচ, এম জোবায়ের হোসাইন:
মুজিব বর্ষে ‘বাংলাদেশের একটি ব্যক্তিও গৃহহীন থাকবে না’, আশ্রায়ানের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার। যতদিন একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে ততদিন গৃহহীনদের গৃহ প্রদান কর্মসূচী চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খাসজমি বরাদ্দ দিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ প্রকল্পে ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ধাপে ৬৪৫টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। তনমধ্যে এবার ১৫জন হিজড়াদেরও ঘর প্রদান করা হবে।
ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২০ জানুয়ারী, সকাল সাড়ে ১০ টায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ গ্রদান (২য় পর্যায়) কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে। এবার দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহে সদরে ৭৫, ঈশ্বরগঞ্জে ৯০, ভালুকায় ৮০, ফুলবাড়িয়ায় ৭০, গফরগাঁওয়ে ৭০, মুক্তাগাছায় ৪৫, ত্রিশালে ৪০, তারাকান্দায় ৪০, হালুয়াঘাটে ৪০, ফুলপুরে ৩০, ধোবাউড়ায় ৩০, গৌরীপুরে ২৫, নান্দাইলে ১০টি গৃহ নির্মাণ শেষে গৃহহীন ও দরিদ্র পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আশ্রায়ানের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ১৭ জুন বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংএ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম গালিভ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহ্ঙ্গাীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) সেগুফতা মেহনাজ প্রমূখ। প্রেস ব্রিফিংটিতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলার সব উপজেলায় নির্মিত ঘরগুলোর মান, মাঠপর্যায়ে ঘরের সঠিক উচ্চতা, মাটির নিচের লেয়ার নির্মাণসামগ্রীর মান ও ঘরের ভিত্তি পরীক্ষা করে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন ডিসি মোহাম্মদ এনামুল হক ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের ফলে অনেক অসহায় গৃহহীন মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। সরকারের এ উদ্যোগ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ভাগ্য বদলে দেবে। অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকর সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সব বাড়িতে দুটি থাকার রুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট ও একটি বারান্দা রয়েছে। দুই শতাংশ জমির দলিল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও হস্তান্তর করা হবে।