সাতক্ষীরায় লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গতকাল বুধবার ১৬ জুন ২০২১ইং তারিখ করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলায় গতকাল ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে ১০০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে জেলা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন অনেকেই। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০টি বেড থাকলেও সেখানে করোনা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৬৫ জন।
গত ৫ জুন ২০২১ইং শনিবার থেকে চলমান দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে নানা অজুহাতে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। হাটে-বাজারে, এমনকি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় কোনভাবেই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যে এভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে এক হাজার বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হলেও রোগীর জায়গা দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক। আগে থেকেই রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
১৫০ বেড থেকে ১৬৫ বেডে উন্নীত করে করোনা রোগী ভর্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা বলেন, রোগীর চাপ থাকলেও ২০০ বেডের বেশি উন্নীত করা যাবে না।
সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়ত জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে মোট ২৫২ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৬১১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আর বর্তমানে ৪৮ জন পজিটিভ রোগীসহ ২৯১ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।মাস্ক ব্যবহার করে সুস্থ্য থাকুন, সরকারি আদেশ মেনে চলে লকডাউন কার্যকর করুন এবং নিজে সচেতন ইউন অন্যকে সচেতন করতেও বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।জনগণের স্বার্থে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
h