পটুয়াখালীতে ৮০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে : জেলা প্রশাসক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বুধবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ।অঝ মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ টপকে ওই পানি প্রবেশ করছে। সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলে পল্লিগুলোর বেশির ভাগ এলাকা এরই মধ্যে ডুবে গেছে।
আসন্ন ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবেলায় গতকাল পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি, ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে ও পরবর্তী সময়ে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এর সভাপতিত্বে সভায় জনপ্রতিনিধিগণ, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ সহ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্যে জেলার ৮০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে । দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানি, স্যালাইন, ওষুধ ও গো খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে। ৯৩ টি মেডিকেল টিমসহ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক দল ও সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।