শিরোনাম

South east bank ad

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : বাগেরহাটে প্রস্তুত থাকবে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র

 প্রকাশ: ২২ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জেলা প্রশাসক

দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করতে শুক্রবার বিকালে বাগেরহাটের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাগেরহাটের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার চিড়া মুড়ি গুড় মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাতে দুর্গত এলাকার মানুষ নিরাপদে পৌঁছতে পারেন সেজন্য রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে দল গঠন করার কথা বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ধরে নিয়ে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকরা এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করবে। করোনার কারণে যেন ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা হয় সেজন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
এক বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান করোনা মহামারির মধ্যে আঘাত হেনেছিল। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বড় চ্যালেঞ্জ হলো দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। গুরুত্বের সঙ্গে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারলে ঝড় মোকাবেলা করা অনেকটাই সহজ হবে

ঝড়ের আগে উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষ যেন আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে স্থানীয় লোকজন থাকতে পারেন সেজন্য এসব আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খুলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি রাখতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিমসহ সরকারে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে যেসব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিতে আসবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক রাখতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর পাশাপাশি স্কুল কলেজগুলোও খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং ২৮ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া তিনটি পৌরসভার জন্য ছয় লাখ টাকা মজুদ আছে। ঘূর্ণিঝড়কালীন ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত সহায়তা করা যায় সেজন্য জেলা প্রশাসন তৎপর থাকবে। বর্তমানে করোনার দুর্যোগ চলমান রয়েছে এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।

BBS cable ad

জেলা প্রশাসক এর আরও খবর: