স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ১৩ ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান চট্টগ্রামে

দুই সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যে প্রথম দোকানপাট খোলার দিন স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা প্রশাসনের ১৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় ২৮ মামলায় ৭ হাজার ৬৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় এবং ১ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা হালিশহর এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন দোকান ও শপিংমলে দোকান মালিক সমিতি ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেন। তিনি সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ২টি মামলায় ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় ৪টি মামলায় ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান চান্দগাঁও ও বাকলিয়া এলাকায় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের সরকারি আদেশ মেনে চলার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন এবং মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ৪টি মামলায় ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক নিউমার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও বিভিন্ন শপিংমলে ৩টি মামলায় ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় ২টি মামলায় ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন শহরের বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় ২টি মামলায় ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেন এবং মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন খুলশী এলাকায় ৪টি মামলায় ২৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ সিআরবি ও কাজির দেউড়ি এলাকায় ৪টি মামলায় ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন পাহাড়তলী ও আকবরশাহ এলাকায় ৩টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।