শিরোনাম

South east bank ad

লটারির মাধ্যমে বদলি : খুলনা জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

 প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জেলা প্রশাসক

লটারির মাধ্যমে বদলি : খুলনা জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি বাস্তবায়ন ও সর্বস্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন কাজ করে যাচ্ছেন।
খুলনার জেলা-উপজেলা প্রশাসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলীতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে নজীর গড়লেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। জেলার রাজস্ব প্রশাসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলীতে দীর্ঘদিনের অস্বচ্ছতা, অনৈতিক লেনদেন ও অনিয়ম-দূর্নীতি দূর করতে লটারীর মাধ্যমে বদলী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলীজনিত হয়রানি ও হতাশা দূর হয়েছে। তেমনি কোন রকম তদবির ও অনৈতিক লেনদেন এবং স্বজনপ্রীতি ব্যতিরেকেই সবাই কাঙ্খিত বদলী হতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কর্মচারিরা।

খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার রাজস্ব প্রশাসনের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনায় যোগদান করার পর বিভিন্ন সময়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বদলীর বিষয়ে নানান অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও কোন কোন ক্ষেত্রে দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

প্রশাসনের বদলীর ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও দূর্নীতি দুর করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে বদলী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেজন্য রাজস্ব প্রশাসনের মাঠ পযায়ের কর্মকর্তাদের বদলীর ক্ষেত্রে লটারি মাধ্যমে বদলী কার্যক্রম করা হয়। এটি করার পর সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এভাবে সকল ক্ষেত্রে করতে পারলে আমরা ধীরে ধীরে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির সুষ্ঠ ও সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহনাজ পারভীন বলেন, রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে একই কর্মস্থলে দুই বছরের অধিক সময় কর্মরত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বদলী করার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

পরে জেলার সকল ইউনিয়নের যে সব কর্মকর্তা পচ্ছন্দমত স্থানে বদলী হতে ইচ্ছুক তাদের কাছে আবেদন চাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের বেশকিছু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবেদন করেন। পরে তাদের আবেদন অনুযায়ী একটি তালিকা করা হয়। এক্ষেত্রে বদলী ইচ্ছুক কর্মকর্তা নিজেরাই নিজেদের কর্মস্থল লিখিত টোকেন উত্তোলনের মাধ্যমে এ লটারি কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার কারণে কর্মচারিরা খুশি। যেকোন ধরনের অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিরোধ করে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে বদলীর কার্যক্রম করা হয়েছে। এ পদ্ধতি সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের উদ্যোগ।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন ও নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এ্যাড. বাবুল হাওলাদার বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বদলী বানিজ্য ও অনিয়ম-দূর্নীতি বন্ধে লটারীর মাধ্যমে বদলীর উদ্যোগ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অন্য সকল ক্ষেত্রে এটি বাস্তবায়ন ও অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, সহকারী কমিশনারবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত থেকে কার্যক্রম শুরু করে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বদলী কার্যক্রম পরিচারিত হওয়ায় সকল কর্মকর্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

BBS cable ad

জেলা প্রশাসক এর আরও খবর: