বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারে সব পর্যটন কেন্দ্র

তানভীর আঞ্জুম আরিফ (মৌলভীবাজার) :
করোনাভাইরাস উচ্চ সংক্রমনের দ্বিতীয় ধাপে এবার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মৌলভীবাজার জেলা। প্রতিদিনই এ জেলার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। করোনার এই উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় পযটন ও প্রবাসীদের জেলায় দুই সপ্তাহ পযটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় দোকানপাট,ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়া সবধরনের সামাজিক, রাজনৈতীক, ধর্মীয় ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর হোটেল রিসোর্টে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক লোক সমাগম না করতে বলা হয়েছে। ১লা এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবদ থাকবে।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয় ফেজবুক পেজ থেকে জানানো হয়,গত ১১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ৪১৪টি নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে ৯২টি। তন্মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সংক্রমণের হার ২২.২ শতাংশ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজার জেলায় সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত ১৮ দফার সাথে স্থানীয়ভাবে আরো কিছু নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এসব নির্দেশনা উপজেলা প্রশাসন এবং তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাইকিং করে প্রচারণা করছেন। এছাড়া ম্যাজিষ্ট্রেটগন বিভিন্ন টিমে মাস্ক বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্ধুদ্ধকরণ কাযক্রম পরিচালনা করছে। এবার মোবাইল কোর্ট করে জরিমানার কথা ভাবছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন,মৌলভীবাজার জেলায় করোনা সংক্রমণ শীর্যে রয়েছে। তাই সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর জন্য এইসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলার লাউয়াছড়া, মাধবকুন্ড, হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেইক, বধ্যভুমি ৭১, বর্ষিজোড়া ইকোপার্কসহ সকল পযটন কেন্দ্র দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। হোটেল রিসোর্টে ধারণ ক্ষমতার ৫০ভাগ মানুষ থাকতে পারবে। সন্ধ্যা ৭টায় দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্টান খোলা থাকবে। যাত্রী পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করবে। জেলা সদরসহ উপজেলায় নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠে থাকবে। একদিকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। জেলায় করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সবাইকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।