শিরোনাম

South east bank ad

২৫ ডিজিটাল বিলবোর্ড হচ্ছে: ‘সাফল্যের’ বিলবোর্ডে ঝুঁকির শঙ্কা

 প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী ২০১৬, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

২৫ ডিজিটাল বিলবোর্ড হচ্ছে:   ‘সাফল্যের’ বিলবোর্ডে ঝুঁকির শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক পরিচ্ছন্নতার নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিলবোর্ড সরিয়ে দেওয়ার পর এখন নতুন করে ডিজিটাল বিলবোর্ড স্থাপন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসব বিলবোর্ডে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করার পাশাপাশি বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। ডিএসসিসির একাধিক সূত্র জানায়, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ২৫টি স্থানে ডিজিটাল বিলবোর্ড স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে শাহবাগ ও বাংলামোটরে বিলবোর্ড বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এ কাজে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ডিএসসিসিকে সহায়তা করছে। জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল বিলবোর্ড স্থাপনে করপোরেশনের কোনো ব্যয় নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করবে। বাণিজ্যিক কাজের মাধ্যমে তারা সেই অর্থ তুলে নেবে। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এখন যেকোনো পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ত্রিকোণ একটি স্থাপনা। বিশাল আকারের এই স্থাপনার ওপরে বসানো হয়েছে তিনটি আলাদা এলইডি স্ক্রিন। সেখানে এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। স্ক্রিনের কাছাকাছি এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। সড়কদ্বীপে বেঞ্চ বসিয়ে তার পাশে কিছু গাছও লাগানো হয়েছে। শাহবাগ একটা দুর্ঘটনাপ্রবণ মোড়। সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও শাহবাগসহ কয়েকটি স্থানে ডিজিটাল বিলবোর্ড বসানো হয়েছিল। ওই সময় ডিজিটাল বিলবোর্ড গাড়িচালকদের মনোযোগ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে জোট সরকার বিদায় হওয়ার পর বোর্ডগুলোও তুলে নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ডিজিটাল বিলবোর্ড থেকে বিচ্ছুরিত আলো পথচারী ও গাড়িচালকদের বিরক্তির কারণ হবে কি না, তা পরীক্ষার পরই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, এসব বিলবোর্ডের আলোয় চালকদের অসুবিধা হয়। পদচারী সড়ক ছাড়া এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞ মতামত ছাড়াই এগুলো বসানো শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম থেকে সরে এসে গবেষণা করে সুষ্ঠু নীতিমালা করে বিলবোর্ড বসাতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহবাগ মোড়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল টেক লিমিটেড। আর এর নকশা করেছেন স্থপতি কুতুবউদ্দিন কাপাডিয়া ও মাকসুদুল হোসাইন। প্রকৌশলী শরিফ উদ্দিন নকশার বাস্তবায়ন করছেন। ডিজিটাল টেকের পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, দুই মাস ধরে তাঁরা এ প্রকল্পের কাজ করছেন। এর মধ্যে শাহবাগে ২৫০ বর্গফুট করে মোট ৭৫০ বর্গফুটের তিনটি আলাদা ডিজিটাল স্ক্রিন বসিয়েছেন। বাংলামোটরে ৬০০ বর্গফুটের একটি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এসব স্ক্রিনে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। ডিজিটাল স্ক্রিনগুলো ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। একটি স্ক্রিনে ৭০টি সাধারণ বিলবোর্ডের সমান বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে। তিনি বলেন, তাঁদের সঙ্গে করপোরেশনের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে প্রতিদিন ৭০ শতাংশ সময় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করা হবে। বাকি ৩০ শতাংশ প্রচার সময় বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। এভাবে প্রকল্প ব্যয়ের অনেকাংশই তুলে আনা সম্ভব হবে। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, এসব স্ক্রিনে যেকোনো জাতীয় দিবসের কার্যক্রমও প্রচার করা হবে। পর্দায় উঠে আসবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার অধীন দপ্তরগুলোর গণমুখী ও উন্নয়নমূলক কাজ। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ক্রিকেট, ফুটবল টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো দেখানো হবে। শুধু তা-ই নয়, চারদিকে এনালগ বিলবোর্ডে যেসব কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচার করে, সেগুলোও অর্থের বিনিময়ে এখানে প্রচার করা যাবে। ডিএসসিসির উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার বলেন, প্রথম পর্যায়ে শাহবাগ মোড়, শেরাটন মোড়, জিরো পয়েন্ট ও বাংলামোটরে ডিজিটাল বোর্ড বসছে। পরে অন্য স্থানগুলোতে বসানো হবে। যাঁরা এসব কাজ করছেন, তাঁরা কীভাবে কাজগুলো পেলেন, কোনো দরপত্র হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে আবেদন করেছেন। তাঁদের আবেদন বাছাই করে যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হয়েছে।
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: