শিরোনাম

South east bank ad

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সারা দেশে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

 প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সারা দেশে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে অবৈধ যে কোনো বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মাঠ প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও। চলতি সপ্তাহের শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে পাঁচ সচিব ও ৬৪ জেলার ডিসিকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদারীপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ডিসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ঘোড়াঘাটের ইউএনও আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা জারি করল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২৮ আগস্ট মাদারীপুরের ডিসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। যদিও সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে তা খারিজ করা হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। আর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও আক্রান্ত হওয়ার পেছনেও স্থানীয়ভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের পদক্ষেপকে একটি বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকিতে ফেলছেন। দেশের বড় কয়েকটি প্রকল্প, বিশেষ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদীশাসনেও বালু উত্তোলন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই এ বিষয়টিতে স্থানীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিটি ভূমি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিবসহ ৬৪ জেলার ডিসিদের পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, পদ্মা রেলসেতু সংযোগ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ চলছে। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, সরকারের বালুমহাল হিসেবে ঘোষিত নয় এমন এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আবার অনুমোদিত ইজারাদাররাও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসরণ না করে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। সে কারণে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিপণন সম্পূর্ণ বন্ধ করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উদ্যোগ নিতে গেলেই স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। এ বিষয়টি বর্তমান সময়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, রাজনৈতিকভাবে একটি দুষ্টচক্র সরকারের অনেক ভালো অর্জন নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেই উল্লিখিত আদেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে মাঠ প্রশাসন সাহস না হারায়।
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: