রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কড়া নজরদারি

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মধ্যরাতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি পোষ্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা চালালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫৯ রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নিহত হন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যও নিহত হন।
রাখাইন প্রদেশে পরিস্থিতি অবনতির পর বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি সতর্কতা জারি করেছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও কক্সবাজার সীমান্তে ক্যাম্পগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল আহসান খান জানিয়েছেন, ভোর থেকে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছেন অনুপ্রবেশের জন্য। তবে বিজিবির কড়া প্রহরার কারণে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না। সীমান্তের নিরাপত্তায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির এই অধিনায়ক।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের ওপারে বৃহস্পতিবার গভীররাত থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিজিবি সকাল থেকে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, গভীর রাতে গোলযোগের পর থেকে আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তারা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। তবে বিজিবির টহল জোরদার করায় তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছেন না।