জিডিপিতে এসএমইর অবদান ক্রমেই বাড়ছে

মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের (এসএমই) অবদান ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
রবিবার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন-২০১৫ এর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (স্কিটি) মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিসিকের ভূমিকার ফলে জিডিপিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের অবদান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
এ ধারা অব্যাহত রাখতে বিসিকের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকা- ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতার আলোকে সৃজনশীল প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সৃজনশীল প্রকল্পের প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমর্থন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জাপান, চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিসিকের মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে জানানো হয়, বিসিকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় সারা দেশে ১ লাখ ১৭ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প এবং ৮ লাখ ৩৭ হাজার কুটির শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেছে। এসব শিল্প কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
২০১৫ অর্থ বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে ৪৩ হাজার ৮শ’ ৫৮ কোটি টাকার পণ্য সামগ্রী উৎপাদিত হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা বেশি। উৎপাদিত এসব পণ্য সামগ্রীর মধ্যে ২৪ হাজার ৫শ’ ৯১ কোটি টাকার পণ্যই ছিল রপ্তানিযোগ্য। একই সময়ে শিল্পনগরীর বিভিন্ন কারখানা থেকে সরকার সাড়ে ২৬শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে।