উন্নত দেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
উন্নত দেশের সারিতে যাওয়ার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আগামী পাঁচ বছরে সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা সামিট অন স্কিল, ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ডিসেন্ট ওয়ার্ক-২০১৬’ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দক্ষ কর্মীই মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে পারে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমরা প্রশিক্ষকদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এ বছর আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নে তহবিল গঠন করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছি। এখন আমাদের টার্গেট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা। তবে এখানে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার অন্যতম হলো দক্ষতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা।’
অর্থমন্ত্রী জানান, আমাদের দেশে কাগজে-কলমে ৪ শতাংশ বেকারত্বের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই হার আরও বেশি।
দক্ষ জনশক্তি, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানভিত্তিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন সম্মেলনে আগত অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা । ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে কর্মসংস্থানভিত্তিক প্রবৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দরিদ্রতা দূরীকরণ, ক্ষুধামুক্ত, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনিয়ট পিয়েরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ এমপ্লয়ারর্স ফেডারেশনের কর্মকর্তারা, আইএলওর উপপরিচালক সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দাতা সংস্থা, এনএসডিসি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিপিডি এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে বাংলাদেশে শোভন কর্মসংস্থানের (ডিসেন্ট ওয়ার্ক)জন্য দক্ষতা; অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ, যুবকর্মসংস্থান, প্রতিবন্ধীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া শোভন কাজের সরবরাহ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ, শিল্প কারখানায় শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক যোগাযোগ কিভাবে স্থায়ীরূপ দেয়া যায় সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়।