শিরোনাম

South east bank ad

তথ্যপ্রযুক্তির দেশ হিসেবে পরিচিত হবে বাংলাদেশ: পলক

 প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

তথ্যপ্রযুক্তির দেশ হিসেবে পরিচিত হবে  বাংলাদেশ: পলক
শুধু শ্রমিক রপ্তানিকারক দেশ বা তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী দেশ নয়, একদিন বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবে বলে আশা করছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মোবাইল গেইম আইডিয়া উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে আমাদের প্রায় ১ কোটি লোক কায়িক শ্রম দিয়ে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছে। এছাড়া ৬০ লাখ তরুণ-তরুণী রক্ত ঘাম করা পরিশ্রম দিয়ে আমাদের তৈরি পোশাক খাত থেকে ২৮ বিলিয়ন ডলার জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করছে। “সারাবিশ্ব আমাদের চিনছে শ্রমিক জাতি হিসেবে। সারা বিশ্ব জানছে আমরা সারা পৃথিবীর মানুষের জামা সেলাই করছি। আমরা কি সারাজীবন বিশ্বের কাছে একটি শ্রমিক জাতি হিসেবেই পরিচিত হব?” তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পলক। এজন্য হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর মেধা কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। অ্যানিমেশনের জন্য অস্কারজয়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাফিস ইকবাল, ইউটিউবের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ করিম, খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ খানের কথা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমাদেরও মেধা আছে। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেইম উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় পূর্ণাঙ্গ অ্যাপস ডেভেলপার হিসেবে ৮ হাজার ৭৫০ জন এবং গেইমিং অ্যানিমেটর হিসেবে ২ হাজার ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। “তাদের আমরা তৈরি করছি যেন শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তারা যেন নেতৃত্ব দিতে পারে। দেশের অর্থনীতিকে যেন তারা ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে পারে।” তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে রপ্তানি প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানান পলক। ২০০৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালের মধ্যে এ খাতে রপ্তানি বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্য হার্ডওয়্যার, সফটওয়ার, সার্ভিস সেকটরের পাশাপাশি মোবাইল গেইমিংকেও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। কর্মশালায় ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ফরাস উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এমএম শহিদুল হাসান, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেইম উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক নবীর উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ১০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: