প্যাকেজ ভ্যাট শতভাগ বাড়ানোর প্রতিবাদে প্রতীকী ধর্মঘট

দোকান প্রতি বার্ষিক প্যাকেজ ভ্যাট ১৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৮ হাজার টাকা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে প্রতীকী ধর্মঘট চলছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে মেট্রোপলিটন শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ডাক দেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তবে কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ধর্মঘটের বাইরে থাকবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোছাইন বলেন, আমাদের ধর্মঘটে টেরিবাজার, তামাকুমণ্ডি লেন, রিয়াজউদ্দিনবাজারসহ বেশিরভাগ বিপণিকেন্দ্রের দোকানমালিকরা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছেন। দোকান মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিউমার্কেট মোড় থেকে আমতল পর্যন্ত এলাকায় জড়ো হচ্ছেন। সাড়ে ১০টা থেকে আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও সমাবেশ শুরু হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় চরম ধস নেমেছে। লোকসান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে দোকানিরা। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এ অবস্থায় জোর করে দোকান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া দ্বিগুণ (১০০ শতাংশ) ভ্যাট প্রত্যাহার এবং ক্ষুদ্র ও স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবিতে মেট্রোপলিটন এলাকায় এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রতীকী ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে যোগ দিয়েছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাশেম, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম ককসি, তামাকুমণ্ডি লেন বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর, সাধারণ সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, জামালখান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবদুল জব্বার, আবু তালেব, ইয়াছিন চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, টিংকু বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হারুণ, অর্থ সম্পাদক আমান উল্লাজ জাহাঙ্গীর, মো. ইব্রাহিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের দাবি, নগরীর ৬০টি বিপণিকেন্দ্রের ৫ হাজার দোকান মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। এর মধ্যে দোকান মালিক সমিতির নেতা-কর্মীদেরও একাংশ রয়েছে। তবে বিপণিকেন্দ্রগুলোর বাইরে নগরীর অলিগলি ও কাঁচাবাজারগুলোর অনেক দোকানই সকাল ১০টায় খোলা দেখা গেছে।