উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক নভেম্বরে

আগামী মাসে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ) সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনব্যাপী এ সভার উদ্বোধন করবেন। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ বিডিএফ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সভায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দুটি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এসডিজি অনুমোদন হয়েছে। আর ২০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।
এবারের বিডিএফে কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন; অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণ; সুশাসন ও উন্নয়ন; স্বাস্থ্য ও মানসম্পন্ন শিক্ষা; অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর সম্পৃক্ততা এবং সামাজিক নিরাপত্তা—এ ছয়টি কর্ম-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের বিডিএফে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেত্তি ডিক্সন ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়ানচাই জাংয়ের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ৩৬টি দাতা সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিরা বিডিএফে অংশ নেবেন।
এবারের সভা উপলক্ষে বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইআরডি। ইতিমধ্যে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা কমিটি কাজ শুরু করেছে।
অন্যবারের মতো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ সভার আয়োজন করছে। বাংলাদেশে কার্যরত দাতাদের ফোরাম স্থানীয় পরামর্শক গোষ্ঠী (এলসিজি) এ সভায় দাতাদের পক্ষে সমন্বয় করছে।
দুই দিনের সভা শেষে বাংলাদেশ সরকার ও দাতারা একটি যৌথ ঘোষণা দেবে। যৌথ ঘোষণায় থাকবে কীভাবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির সঙ্গে সমন্বয় করে দাতারা অর্থ সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সর্বশেষ বিডিএফের পর কয়েকবার এ সভা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে তা পিছিয়ে যায়।