শিরোনাম

South east bank ad

করোনায় সোয়া কোটি পরিবারের জন্য সরকারের ৫৭৪ কোটি টাকা

 প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে। প্রতিমন্ত্রী রোববার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সার্বিক ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর ফলে বাংলাদেশে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজনের জন্য সরকার গত বছর বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনের অনুকূলে শিশুখাদ্য কেনার জন্য আরও টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দ এসব অর্থের মাধ্যমে শিশুখাদ্য কিনে তা বিতরণ করা হবে। ফলে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

এনামুর রহমান বলেন, জিআর ক্যাশ ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ দিয়েছি ৪৭২ কোটি টাকা। বড় সিটি করপোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে, ছোট সিটি করপোরেশনগুলো ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছি। পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও টাকা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও করোনাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময় অর্থ বরাদ্দ/মজুদ রাখা হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সব সময় মজুদ রাখা হয় যা জেলা প্রশাসকরা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী অতি সম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫শ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি প্রান্তিক জনগষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার কেনা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস চিড়াসহ বিভিন্ন আইটেম আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্যসামগ্রী থাকবে, যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য খুব শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনা হবে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআর/কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশ নিতে পারবে।

কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সিটি করপোরেশন এলাকায় বরাদ্দ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে পরিমাণ মানুষ কর্মহীন রয়েছে, তাতে সেখানে এই ৫০-৫৭ লাখ টাকা কোনো অংকই না। মেয়ররা বলেছেন ৫০ লাখ না দিয়ে যদি ৫ কোটি দেন তাও এখানে কুলাবে না।

প্রধানমন্ত্রী আমাদের নগরের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন, নগরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা বিতরণ করুন। আবার চাহিদা পাঠান আমরা দেবো, মেয়রদের বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ধান-চালোর মজুদ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানি, লোকাল ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। আমাদের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: