শিরোনাম

South east bank ad

বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ এই থিমকে সামনে রেখে এবারের অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার আন্দোলনের সূতিকাগার হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্র সংগঠন গঠন করার প্রেক্ষিতে ১১ মার্চ সংগ্রাম পরিষদ গড়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় ছাত্রদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতেন। বঙ্গবন্ধুর অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো।

দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মোট ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ইতিহাসের স্বচ্ছ বিস্তৃত পরিসরে এবারের বইমেলা। অংশ নিয়েছে ৫৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। করোনাকালের বাস্তবতায় এবারের গ্রন্থমেলায় সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। মেলায় আগতদের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। ২৮ দিনব্যাপী মেলা শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট; মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর বসানো হয়েছে উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি পাঁচটি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।

শিশু চত্বরও মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে রয়েছে। একক ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউ-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব প্রান্তে নতুন একটি প্রবেশ পথ এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া টিএসসি এবং বাংলা একাডেমির বিপরীত দিক মিলে সোহরাওয়ার্দীতে তিনটি প্রবেশ পথ ও তিনটি বাহির পথ রয়েছে। প্রত্যেক প্রবেশ পথে রয়েছে সুরক্ষিত ছাউনি, যাতে বৃষ্টি ও ঝড়ের সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

করোনাকালীন এই বই মেলায় অংশগ্রহণ করায় লেখক-প্রকাশকদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি থাকায় তার অনুরোধে এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২০ প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির ইংরেজিতে অনূদিত ‘NEW CHINA 1952’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: