শিরোনাম

South east bank ad

কর্মমুখর হচ্ছে ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা

 প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জীবন-যাত্রা পাল্টে যাচ্ছে। বাসস্থান, খাবার, জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিত্ত বিনোদনের সব সুবিধা আজ বাস্তব। সব মিলিয়ে মিয়ানমারের সেনাদের হাতে রাখাইনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সামনে এখন নতুন স্বপ্নের হাতছানি।

তিন বছরের বেশি সময় কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে গাদাগাদি অবস্থা থেকে স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা পেয়েছে তারা। বাস্তব চিত্র হলো- এখন কেউ নিজের ঘরের সামনে চাষ করছে, কেউ দোকানে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। হাতে-কলমে কাজ সেলাই, বুটিকে নকশার কাজ শিখছে কেউ কেউ। এমনই কর্মমুখর এখন ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা।

ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কমোডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত সাত হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে আনা হয়েছে।

১ হাজার ৭০০ একর জায়গায় যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে- সেখানে ১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের সুব্যবস্থা রয়েছে। এই চরে আরও যে পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য জায়গা রয়েছে- সেখানে আরও প্রায় দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজের ব্যবস্থা করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের নানা কাজের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রমের জন্য বর্তমানে ৪০টির বেশি এনজিও কাজ করছে।

তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ছোট খাট চাষাবাদ, গবাদিপশু পালন, হাতের কাজ, সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই সেলাই এর কাজ করছেন। এছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য তাদের নিজেদের মাতৃভাষা এবং ইংরেজি ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনা শুরু হওয়ার পর ১৪ শিশুর জন্ম হয়েছে।

সরকারের নানা উদ্যোগে একটু স্বস্তিতে থাকলেও নিজ দেশে ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় রোহিঙ্গাদের ‘মাঝি’ হিসেবে পরিচিত হামিদুল্লাহ জানান, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার সেনারা তার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিলে তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসেন। এর আগে কক্সবাজারে খুব কষ্ট করে থাকতে হতো, আবার ভয়ও বাড়ছিল। এখন ভাসানচরের ব্যবস্থা অনেক ভাল। কারণ কক্সবাজারে ক্যাম্পের ভেতরে মারামারি, রেষারেষিতে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। এখন শান্তিতে আছেন। কক্সবাজারের মতো অবস্থা এখানে সৃষ্টি হবে না বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।

হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সরকার যতই সুযোগ-সুবিধা করে দিক, আমরা রাখাইনে নিজের ভিটেমাটিতে ফিরে যেতে চাই। এইখানে রিফুজি ক্যাম্পে নয়, নিজের দেশে যেতে চান। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে চান, ছেলে-মেয়েদের আরও অনেক দূর পর্যন্ত লেখা-পড়া করাতে চান। তিনি জানান, মিয়ানমার সরকার যা পুড়িয়ে দিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে, তার সবকিছু ফেরত পেতে চান। নিরাপত্তা চান।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: