আজ জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী

জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। ১৯২৩সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবীর চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। নোয়াখালী জেলার চাটখিলে উদার ও মুক্তচিন্তার এক পারিবারিক পরিম-লেবেড়ে ওঠেন তিনি। তার ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী, বোন ফেরদৌসী মজুমদার বাংলাদেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। মেধাবী এ মানুষটিকেসম্মান জানাতে ১৯৯৮ সালে তাকে 'জাতীয় অধ্যাপক' করা হয়। নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সমমনাদের নিয়ে গঠনকরেন 'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'। মৌলবাদ ও সামপ্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট,থিয়েটার, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। কবীর চৌধুরী ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেআমৃত্যু বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কবীর চৌধুরী ১৯৯১ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ছয় সঙ্গী, প্রাচীন ইংরেজি কাব্যসাহিত্য, আধুনিক মার্কিনসাহিত্য, শেক্সপিয়র থেকে ডিলান টমাস, সাহিত্য কোষ, ইউরোপের দশ নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচনা ও নন্দনতত্ত্ব পরিভাষা, শেক্সপিয়র ও তারমানুষেরা, অ্যাবসার্ড নাটক, পুশকিন ও অন্যান্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়,ছোটদের ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস, ছবি কথা সুর ইত্যাদি।