‘শহীদ’ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ ৩১ মার্চ র্যাব এর তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান ‘শহীদ’ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ সিলেটের শিববাড়ীর 'আতিয়া মহল' জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় পাঠানপাড়া এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁর মাথায় স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছিল।
এরপর পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে লড়ে, ৩১ মার্চ ২০১৭ সালে রাত ১২টা ৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আগামীতে বাংলাদেশের জঙ্গি বিরোধী ইতিহাস যতবার আলোচিত হবে, ততবার উচ্চারিত হবে শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের নাম।
১৯৭৫ সালের ৩০ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের মনকষা গ্রামে লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৯৬ সালে ৭ জুন ৩৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।
কমিশন লাভের পর তিনি ৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে আইও, এ্যাডজুট্যান্ট এবং কোয়ার্টার মাস্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাসদর, প্রশাসনিক শাখায়, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এবং ১৯ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে (সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন) বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৫ সালে তিনি সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে প্যারাট্রুপারে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্যারা-কমান্ডো হিসেবে উত্তীর্ণ হন।
২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি র্যাব-১২ এর কোম্পানি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একই বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরে ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের (টিএফআই সেল) উপপরিচালক এবং ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে এই উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
দীর্ঘ ৫ বছর ৪ মাস র্যাবে কর্মরত অবস্থায় তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সুনামের সঙ্গে পালন করেছেন। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য তিনি বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পুরস্কারে ভূষিত হন। নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন বিশেষ করে জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ ও হিযবুত তাহরীরের সদস্যদের গ্রেফতারের ব্যাপারে লে. কর্নেল আজাদের অবদান রয়েছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।