ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠানো রেমিট্যান্স তোলা যাবে বিকাশে

এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স তোলা যাচ্ছে বিকাশের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে। ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিকাশের ৩ লাখ ৩০ হাজারে বেশি এজেন্ট পয়েন্ট থেকে অনায়াসেই প্রবাসীদের প্রিয়জনেরা রেমিট্যান্সের টাকা গ্রহণ করতে পারছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
সম্প্রতি ক্রস-বর্ডার লেনদেন ও পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, এনসিসি ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এ লক্ষ্যে ‘এজেন্ট অ্যাসিস্টেড মডেল (পিনভিত্তিক রেমিট্যান্স)’ সেবা চালু করে।
এ সেবার আওতায় ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক লেনদেন সেবা গ্রহণকারী গ্রাহক তার কাছাকাছি বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টের সহায়তায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র, সক্রিয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও মানি ট্রান্সফার কন্ট্রোল নম্বর দিয়ে সহজেই রেমিট্যান্সের টাকা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহক। নতুন এ সেবার সেটেলমেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছে এনসিসি ব্যাংক।৷
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সঙ্গে বিকাশের সুদূরপ্রসারী এ উদ্যোগ দেশের রেমিট্যান্স গ্রহণকারী গ্রাহকে আরো স্বস্তি এনে দেবে এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণকে আরো উৎসাহিত করবে।
এ সেবা চালু উপলক্ষে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করলে ১০০ টাকা তাৎক্ষণিক ক্যাশব্যাক দিচ্ছে বিকাশ। একজন গ্রাহক প্রতি মাসে একবারই এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। অফারটি চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর গৌরব ইয়াদাভ বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোই মুখ্য বিষয়। এ কৌশলগত উদ্যোগ উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের প্লাটফর্মকে অর্থ লেনদেনে আরো বেশি সক্ষম করে তুলবে। আরো উদ্ভাবনী আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে গ্রাহককে সরাসরি তার প্রিয়জনের পাঠানো অর্থ পৌঁছে দিয়ে তাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’
বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশ। প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিকাশ। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সঙ্গে এ যৌথ উদ্যোগ বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়াকে বেগবান করে তুলবে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও গ্রহীতা উভয়ের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে।