বসুন্ধরার হুইলচেয়ার পেলেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শাকিল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
‘আমি এইবার হুইলচেয়ার নিয়ে কলেজে যাইতাম পারবাম। মনে করছিলাম আর বোধ হয় পড়া হইত না। এখন মনে হইতাছে কলেজে যাইতাম পারবাম। মনটা খুশিতে ভইর্যা গেছে।
বসুন্ধরার হুইল চেয়ার পেয়ে খুশিতে আপ্লুত হয়ে এভাবে কথাগুলো বললেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পুরহরি গ্রামের মৃত ইলিয়াছ উদ্দিনের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে মেহেদি হাসান শাকিল (২২)। আজ সোমবার বিকেলে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাকে হুইলচেয়ারটি তুলে দেন উপজেলার কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাকিল জন্মগত প্রতিবন্ধী। এরপরও থেমে থাকেনি তার পড়াশোনা। হতদরিদ্র কৃষক বাবা তার অদম্য মেধা দেখে খুবই কষ্টে পড়ালেখা করাতে থাকেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বাবা মারা গেলে মা নাসিমা বেগম অতিকষ্টে ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যান। এভাবেই ছেলে শাকিল এসএসসি পাস করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। এর মধ্যে শাকিলের শরীরের আকার আকৃতি বাড়তে থাকলে মায়ের কোলে চড়ে আর কোথা যাওয়া সম্ভব হয় না। বাড়িতেই মাটিতে হামাগুড়ি দিয়েই জীবন চলতে থাকে।
মা নাসিমা জানান, ছেলে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হলেও একটি হুইলচেয়ারের অভাবে পড়ালেখা বন্ধ থাকে। অর্থনৈতিক কারণে হুইলচেয়ার কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যদের নজরে আসে শাকিল। তাঁরাই হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেন। এখন থেকে শাকিলকে কলেজে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এই জন্য তিনি দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ জানান।
এলাকার আনিছুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কাজগুলো সকল মহলেই আলোচনায় এসেছে। এভাবে অন্যরা এগিয়ে এলেই অসহায়রা পাবে একটা ছায়া। বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের মানবিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যাক- এটাই কামনা করি