শিরোনাম

South east bank ad

তামাক খাতের জন্য প্রস্তাবিত আইন সংশোধনীর খসড়া অযৌক্তিক: আইপিএবি

 প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

তামাক খাতের জন্য প্রস্তাবিত আইন সংশোধনীর খসড়া অযৌক্তিক: আইপিএবি

তামাক খাতের জন্য প্রস্তাবিত আইন সংশোধনীর খসড়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইপিএবি)।বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে পলিসি ডায়ালগ অ্যান্ড ইটস ইম্প্যাক্ট (টোবাকো অ্যান্ড লিংকেজ সেক্টর) শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগের আয়োজনে এসব কথা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশিত তামাক খাতের জন্য প্রযোজ্য একটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর তাদের বিশ্লেষণ ও মতামত উপস্থাপন করেন। বক্তারা জানান, সরকার এই খাত থেকে শুধু গত অর্থবছরেই ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এই খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আনীত প্রস্তাব আদৌ যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য কিনা তা আরও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে এমন আইন তামাক শিল্পের মতো একটি বৈধ শিল্পের জন্য হুমকি স্বরূপ বলেও মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি ২০০৫ সালে প্রণীত ও সর্বশেষ ২০১৩ সালে সংশোধিত হয় এবং ২০১৫ সালে এই আইনের বিধি চূড়ান্ত করা হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই আইনের অধিকতর সংশোধন আনার লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে যার মধ্যে ধূমপান এলাকার ব্যবস্থা বিলুপ্তিকরণ, তামাক কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য পৃথকভাবে লাইসেন্স গ্রহণ, ফেরি করে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, সিগারেটের একক শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদিসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে যা এই খাতের সঙ্গে জড়িত অংশীজনদের বিপাকে ফেলতে পারে বলে মনে করে আইপিএ।

নতুন এই আইন দেশে আদৌ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে সংগঠনটি। আবার তামাক সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন সভায় সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধি ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর মতামত না নেওয়ায় এই সংশোধনী খসড়াটি বাস্তবতা বিবর্জিত বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্পষ্টতার ফলে এই ত্রুটিপূর্ণ আইনের অপপ্রয়োগ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে যা মাঠ পর্যায়ে হয়রানি এবং নকল পণ্য বৃদ্ধির উদ্বেগ সৃষ্টি করবে।

পলিসি ডায়লগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. হারুনুর রাশিদ। এছাড়া সহআলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর টি আই এম নুরুল কবির, মোবাইল ফোন অপারেটর রবির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম রশিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

আইপিএবির প্রেসিডেন্ট শামসুল আলম মল্লিকের সভাপতিত্বে ডায়লগ সেশনটি পরিচালনা করেন আইপিএবির ডিরেক্টর জেনারেল মো. আজিজুর রহমান।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: