হজ যাত্রায় হাজিদেরকে উপহার সামগ্রী প্রদান এবং ৩ ফাউন্ডেশনে শিক্ষা সহায়তা দিলো লাফয

লাফয বিশ্বক্ষ্যাত হালাল পণ্য বাংলাদেশে এরিমধ্যে স্থান করে নিয়েছে মানুষের মননে তা আরো ব্যাপকভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানোই লক্ষে এইবার নতুন করে আয়োজন করেছে হজ যাত্রার সন্মানিত হাজিগন এর জন্য বিশেষ উপহার সামগ্রী প্রদান এর হালাল পণ্য নির্বিগ্নে ব্যবহার এর জন্য কিছু হালাল পকেট বডি স্প্রে, কাবার যাত্রা নামের একটি পুর্নাঙ্গ হজ নির্দেশিকা বই যা গ্রন্থনা করেছেন বিশিষ্ট মাওলানা মোঃ লুতফুর রহমান, খতিব, বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, একটি পাটের তৈরি ব্যাগ যাতে খুব সহজেই হাজিগণ নিজস্ব পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বহন করতে পারে সাথে লাফয এর পণ্য।
প্রায় পাচশত হাজির উপস্থিতিতে এই এইসব উপহার সামগ্রী কাবার যাত্রার হাজিগন এর মাঝে বিতরণ করেন এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিলিভ প্রাইভেট লিমিটেড বাংলাদেশের পক্ষে হেড অব অপারেশন জাহিদুল ইসলাম রনি, লাফয এর অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সকল হাজিগন। পরবর্তীতে একটি নৈশভোজ এর আয়োজন করা হয় হাজিদের সন্মানে, অনুষ্ঠানে জাহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের এইবার শুরু করলাম কিছু সংখ্যক সন্মানিত হাজিদের উপহার দিয়ে যা হালাল পণ্য হিসেবে একটি ভালো কাজ বলে মনে করি মুল উদ্দেশ্য ইসলামে বলা আছে সবাই যেন হালাল পণ্য ব্যাবহার করে সকল ক্ষেত্রে তাই সর্বোত্তম সন্মানিত হাজি সাহেবগণ কে এইবার আমরা যেটুকু উপহার দিয়েছি তা আগামিতে অব্যাহত থাকবে আরো ব্যাপকভাবে, সবার কাছে দোয়া চেয়েছি লাফয এর জন্য হালাল এর সাথে থাকার জন্য।
লাফয এর পক্ষ একিদিনে
৩ ফাউন্ডেশনে শিক্ষা সহায়তা প্রদান এবং ৫০০ অসহায় শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিল।
‘রামাদান গিফট এ স্মাইল’ ক্যাম্পেইনে পাওয়া অর্থের ২৫ শতাংশ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য তুলে দিয়েছে লাফয। আশ্রয় ফাউন্ডেশন, সাকো (সোশ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড কেয়ার অরগানাইজেশন) ও নবদ্যোম ফাউন্ডেশনকে এই অর্থ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিন ফাউন্ডেশনের প্রতিটির কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার করে মোট সাড়ে চার লাখ টাকার চেক তুলে দেন বিলিভ প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে বাংলাদেশ অপারেশন হেড মো. জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনগুলোর সঙ্গে লাফযের এক চুক্তি সই হয়। এর মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে লাফয তাদের ৫০০ শিশুর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে।
আশ্রয় ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহানা ইয়াসমিন বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য লাফযের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আমাদের নিজেদের পক্ষে এতগুলা বাচ্চার শিক্ষার দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য। লাফযকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক লাইফস্টাইল কোম্পানি বিলিভ প্রাইভেট লিমিটেডের হালাল সার্টিফায়েড ব্র্যান্ডগুলোর একটি লাফয, যা এরই মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও দুবাই, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব সহ আরো অনেক দেশে হালাল পণ্য নিয়ে সফলভাবে মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে।
জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, বিলিভ প্রাইভেট লিমিটেড ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিতে চায়। এই স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন শুরু হলো বাংলাদেশ থেকে। শিগগিরই এই উদ্যোগ ছড়িয়ে যাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য।
দুটি অনুষ্ঠান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর দায়িত্বে ছিল রাউন্ড দ্যা ক্লক।