শিরোনাম

South east bank ad

'বাংলাদেশের অংশীদার' নামে ইউনিলিভারের 'সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট' প্রকাশ

 প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

'বাংলাদেশের অংশীদার' নামে ইউনিলিভারের 'সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট' প্রকাশ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ঐতিহ্যবাহী এবং অন্যতম বৃহৎ ভোগ্য ও নিত্যব্যবহার্য পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবার 'বাংলাদেশের অংশীদার' প্রতিপাদ্যে প্রতিষ্ঠানটির 'সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২১' প্রকাশ করেছে। রাজধানীর হোটেল ওয়েষ্টিনে এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার রবার্ট ডিকসন ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আখতারসহ কোম্পানির বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশীদাররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে ইউনিলিভারের রয়েছে ৫ দশকেরও বেশি সময়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস। পুরোটা সময়জুড়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের প্রচেষ্টার অগ্রপথিক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেছে। টেকসই উন্নয়নকে ব্যবসার প্রতিটি অংশে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় সরকারসহ অন্যান্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন কৌশল ৩টি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত - পৃথিবীর স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, মানুষের স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও সুস্থতার উন্নয়ন এবং আরও ন্যায্য ও সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব তৈরিতে অবদান রাখা। এগুলো প্রতিষ্ঠানের মূল কম্পাস স্ট্র্যাটেজি হিসেবে পরিচিত।

সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টে বলা হয়, ইউনিলিভারের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউনিলভার বাংলাদেশ তার উদ্দেশ্যমুখী ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের অভ্যাস পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ের প্রতিটি ধাপে টেকসই কাঠামো নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির পথচলায় বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন সেক্টরের বৈচিত্র্যময় অংশীদারদের নিয়ে বহুমুখী-অংশীজন মডেল গঠন ও সুপরিচালনায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০২১ সালে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) পূরণে টেকসই উদ্যোগের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে ৪৩ কোটি টাকারও বেশি।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইউনিলিভার বাংলাদেশে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে শুধু ব্যবসা পরিচালনাই করছে না বরং একইসাথে নৈতিক ও আদর্শ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের জন্য অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সারাদেশে প্রায় ১০ লাখ উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছে। ফলে কর্মসংস্থান তৈরিতেও বিশাল অবদান রাখছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।" অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী একটি রিফিল মেশিনও উদ্বোধন করেন, যা প্রযুক্তি এবং ভোক্তাদের আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে ইউনিলিভার বাংলাদেশের একটি অনন্য উদ্যোগ।

রবার্ট ডিকসন বলেন, তিনি এ পর্যন্ত যে সকল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে ইউনিলিভারই সবচেয়ে টেকসই ভাবনার মূলধারার কোম্পানি। ইউনিলিভারের জন্য সবচেয়ে প্রশংসাযোগ্য বিষয়-প্রতিষ্ঠানটি অসাধারণ ও উদ্ভাবনে সক্ষম কর্পোরেট সিভিল সোসাইটি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়েছে, যাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হচ্ছে।

জাভেদ আখতার বলেন, 'বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার বিগত পাঁচ দশকে ইউনিলিভার দেশ ও মানুষের কল্যাণে সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করে আসছে। ইউনিলিভারের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা আমাদের উদ্দেশ্যমুখী ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে মানুষকে অভ্যাস পরিবর্তনে অনুপ্রাণিত করি। ব্যবসার প্রতিটি ধাপে টেকসই ভাবনাকে প্রোথিত করতে চাই এবং টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই যাত্রায় সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার মডেল বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা জোরদার করে থাকি।'

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: