নারায়ণগঞ্জে করোনায় বিপর্যস্ত কর্মচারীদের জন্য গাজী গোলাম মর্তুজার ৫০ লাখ টাকা অনুদান

গত মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলোতে করোনায় বিপর্যস্ত কর্মচারীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহর হাতে দশ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর হাতে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের কাছে ৫ লাখ টাকার চেক, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ১০ লাখ টাকার চেক এবং তারাবো পৌরসভাকে ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নির্দেশনায় এসব অর্থ প্রদান করেন গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।

অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক রূপগঞ্জে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তিনি আমাকে ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেন। আমরাই প্রথম রূপগঞ্জে বেসরকারি করোনা পরীক্ষা ল্যাব স্থাপন করেছি।
গাজী গোলাম মর্তুজা আরও বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। করোনা সংকটের সময় সরকারের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা মনেকরি, সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে পারলে পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে’।
অনুষ্ঠানে গাজী পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক জাতির একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান। করোনাভাইরাসে সারা বাংলাদেশ যখন এলোমেলো তখন আমাদের গাজী পিসিআর ল্যাব অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। আমরা দ্রুত রোগী শনাক্ত করতে পারছি। অনেক মানুষের অনেক টাকা আছে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে না। নিজের টাকায় গাজী পরিবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের অনেক মেডিকেল সাপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া টাকা অনুদানসহ নানা সরঞ্জামাদি দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। এ জন্য গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ গাজী পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা বর্তমানে অন্য যে কোনো জেলার তুলনায় ভালো আছি’।