২০২১ সালকে এসি ইয়ার ঘোষণা করলো মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক
দৈহিক প্রশান্তিই সুখী জীবনের মূল চালিকা শক্তি। দেহ এবং মস্তিষ্কের সঠিক সংমিশ্রণই পারে মানুষকে সফলকাম করে তুলতে যা আসলে একটি কষ্টকর কাজ। শীতল আবহাওয়া এই সংমিশ্রণ ঘটাতে সাহায্য করে থাকে। সামনে গ্রীষ্মকাল, এই সময়টায় মানুষের শারীরিক প্রশান্তির ব্যাঘাত ঘটে থাকে। কেননা, এই মৌসুমে প্রচন্ড গরম থাকে ,যা মানুষের জীবনকে করে তোলে অস্বস্তিকর।
এরই হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য বর্তমানে এসি ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে অনেকাংশেই। ফলশ্রুতিতে এখন প্রায় সকল বাড়িতেই এসি কেনার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর এই প্রবণতা এখন শহর ছাড়িয়ে মফস্বল অঞ্চলের দিকেও ধাবিত হচ্ছে।
তারপরেও এখনো কিছু কিছু মানুষ এসি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করে। তাদের ধারণা এসি পরিবারে বাড়তি খরচ যোগ করবে। কিন্তু প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের এই ভয়ভীতি দূর করতে অনেক পরিশ্রম করে বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে আসছে। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার গ্রাহকের দুশ্চিন্তা কিছুটা দূর করলেও একটি দ্বিধাদ্বন্দে থাকে যে, কোন ব্র্যান্ডের এসি ক্রয় করা উচিৎ?
বাজারে দেশী-বিদেশী অনেক ব্র্যান্ডের এসি থাকলেও বর্তমানে বিদেশী পণ্যের ভিড়ে দেশীয় কিছু পণ্য তাদের দৃঢ় অবস্থান তৈরী করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যাদের মাঝে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক নাম না বললেই নয়। দেশের বাজারে বেশ ভাল মার্কেট শেয়ার নিয়ে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক এখন মানুষের এক চাহিদার নাম ।দেশজুড়েই রয়েছে মিনিস্টার হাই-টেক পার্কের শো-রুম; যা হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের বিশাল সমাহার ক্রেতাদের উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে এসি অন্যতম।
এরই ধারাবিকতায় মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ২০২১ সালকে ঘোষণা করেছে “এসি ইয়ার”। এই বছর সারা দেশ জুড়ে এসির বাজারে অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করতেই তাদের এই কর্মসূচি। মিনিস্টার হাই-টেক পার্কের এসির জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ।
প্রথমেই থাকছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি। গ্রাহকের বাড়তি খরচ লাঘব করতেই মিনিস্টার এসি নিয়ে এসেছে ৬৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গ্রাহকদের অনেকটাই আকর্ষণ করতে পেরেছে মিনিস্টার এসি ।

এরপর থাকছে ফাস্ট কুলিং প্রযুক্তি। আগে একটি ঘর ঠান্ডা করতে অনেকক্ষণ এসি চালিয়ে রাখতে হতো, কিন্তু ফাস্ট কুলিং প্রযুক্তির ফলে খুব অল্প সময়েই ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। এতে করে কমেছে বিদ্যুতের অপচয় এবং অযাচিত বৈদ্যুতিক বিল।
মিনিস্টারের এসিতে থাকছে উচ্চমানের কম্প্রেসর। এতে ব্যবহার করা হয়েছে জাপানের প্রসিদ্ধ প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের কম্প্রেসর । জাপানের এই কম্প্রেসর দিয়েই দেশের মাটিতে তৈরী হচ্ছে বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব এসি। ইকো ফ্রেন্ডলি এসব এসির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
যেকোন গ্রাহকই চায় বিক্রয়োত্তর সেবা। আর গ্রাহকদের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই মিনিস্টার নিয়ে এসেছে সর্বোচ্চ ১২ বছরের কম্প্রেসর গ্যারান্টি। যা বাংলাদেশে এই প্রথম।এছাড়াও মিনিস্টার এসির সাথে থাকছে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা।
পাশাপাশি সকল স্তরের মানুষের কথা বিবেচনা করে, মিনিস্টার হাই-টেক পার্কের এসিতে থাকছে কম খরচের ইএমআই সুবিধা। এই ইএমআই এর মাধ্যমে খুবই কম ডাউনপেমেন্ট দিয়েই গ্রাহক তার পছন্দের এসি ঘরে নিয়ে আসতে পারে।
গ্রাহকের সুবিধার কথা চিন্তা করে সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে মিনিস্টারের অসংখ্য শো-রুম। পাশাপাশি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকেও গ্রাহক তার পছন্দের পণ্যটি অর্ডার করতে পারবে ।
১ টন, ১.৫ টন এবং ২ টন তিনটি ভাগে মিনিস্টার এয়ার কন্ডিশন বাজারে এনেছে। ১ টনের এসির ক্যাশ প্রাইস ৩৯০০০ টাকা , ১.৫ টনের এসির ক্যাশ প্রাইস ৫৫০০০-৬৫০০০ এবং ২ টন এসির ক্যাশ প্রাইস ৬৬৯০০-৭৫০০০ টাকা ।
ক্রেতাগণ মিনিস্টারের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট ভিজিট করেও এসির মূল্য, ফিচার, অফার সম্পর্কে জানতে পারবে।