টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে চার কোটি বিশ লক্ষ টাকা মূল্যমানের এক লক্ষ চল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২৯ আগস্ট ২০২০ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ খারাংখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৫ এবং ১৬ এর মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে গোপনে অবস্থান নেয়। আনুমানিক ২২০০ ঘটিকায় টহলদল ০১ (এক) জন ইয়াবা কারবারীকে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে সাঁতরিয়ে বিআরএম-১৫ হতে আনুমানিক ১০০ গজ উত্তর দিক দিয়ে নদীর তীর হতে বেড়ী বাঁধে উঠতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। উক্ত চোরাকারবারী দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করে তার সাথে থাকা বস্তা দুটি ফেলে লাফ দিয়ে নাফ নদীতে নেমে সাঁতরিয়ে শুন্য রেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে ইয়াবা পাচারকারীর ফেলে যাওয়া উল্লেখিত প্লাষ্টিকের বস্তা দুটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ৪,২০,০০,০০০/- (চার কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ১,৪০,০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ইয়াবা পাচারকারীকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে রাতভর তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়ন কর্তৃক গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
